ভোট মিটে গেলেও নন্দীগ্রাম নিয়ে তরজা শেষ হওয়ার লক্ষণ নেই। সেখানে গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে রবিবার থেকেই অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল। এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে বলে পুনর্গণনার নির্দেশ দিতে ভয় পাচ্ছেন নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসার।
সোমবার কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মেসেজ কথোপকথন তুলে ধরেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘এক জনের কাছ থেকে এসএমএস পেয়েছি। নন্দীগ্রামের এক রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি যদি পুনর্গণনার নির্দেশ দেন, তাহলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে। নন্দীগ্রামে মেশিন পাল্টে দেওয়া হয়েছে।’’
ঠিক কার সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের ওই কথা হয়েছে, তা যদিও খোলসা করেননি মমতা। তবে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবেন তাঁরা। ততক্ষণ পর্যন্ত ভিভিপ্যাট, ব্যালট এবং ইভিএম আলাদা আলাদা করে সরিয়ে রাখতে হবে। তদন্ত করে দেখা হবে, সেগুলিতে কোনও বিকৃতি ঘটানো হয়েছে কি না।
মমতা বলেন, ‘‘৮ হাজারের উপর এগিয়ে থাকার মার্জিন এক নিমেষে কী করে শূন্য হয়ে যায়? ইচ্ছা করে সার্ভার ডাউন করে রাখা হয়েছিল। না হলে সারা বাংলার এমন ফলাফল, আর নন্দীগ্রামে আলাদা ফল কী ভাবে হয়?’’
শুধু তাই নয়, ভোটপর্বে পুলিশ প্রশাসনের একটা অংশ বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তাঁদের রাজধর্ম পালনের আর্জি জানান তিনি। ভোটপর্বে নির্বাচন কমিশনের আচরণও পক্ষপাতদুষ্ট ছিল বলে মন্তব্য করেন মমতা।
সোমবার (৩ মে) সন্ধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজভবনে সাক্ষাৎ করবেন মমতা। দলের বিজয়ী নেতাদের নিয়েও একদফা বৈঠক করবেন। সেখানেই শপথগ্রহণ এবং মন্ত্রিসভা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে হিংসা এবং অশান্তির খবর সামনে এসেছে। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে সকলকে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানান মমতা। মমতা বলেন, ‘‘হিংসা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে হবে। শান্ত থাকুন। অভিযোগ থাকলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। শান্তি-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পুলিশের।’’
খুলনা গেজেট/ এস আই