খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

বুধবার পুনরায় উৎপাদনে যাচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

গেজেট ডেস্ক

কয়লা সংকটে দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর  বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে পুনরায় উৎপাদনে যাচ্ছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় কয়লাসংকটে গত ১৪ জানুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এখন কয়লার সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় ফের উৎপাদনে যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসে। আরেকটি কয়লাবাহী জাহাজ ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আসার কথা রয়েছে। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে প্রয়োজন পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লা।

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাগেরহাটের রামপালে। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে এই কেন্দ্রের একটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছিল। এর উৎপাদনক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। প্রতিদিন উৎপাদন করা হচ্ছিল ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট। আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটও বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম  বলেন, ‘কয়লার সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় আমরা আগামীকাল (বুধবার) পুনরায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু করতে যাচ্ছি। ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আরেকটি কয়লাবাহী জাহাজ এসে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। কয়লা আমদানিতে এলসি জটিলতা এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।’

আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে যে জাহাজটি এসেছে, সেই কয়লা দিয়ে মাত্র ছয় দিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালানো যাবে। কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন পাঁচ হাজার মেট্রিক টন। পরবর্তীতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লাবাহী জাহাজটি এলে সেটি দিয়ে কেন্দ্রটি আরো ১০ দিন চালানো যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।’

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে রামপালের এই কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছিল। কেন্দ্রটি থেকে রাজধানীতে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। বাকি বিদ্যুৎ খুলনায় সরবরাহ করা হতো। শীতকালের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কম থাকায় রামপাল কেন্দ্র বন্ধ রাখায় তেমন বিরূপ প্রভাব পড়েনি। এখন সেচ মৌসুদ ও গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা আরো বাড়ছে, তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে। রাজধানীর বিদ্যুৎসংকট দূর করতে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত থেকে জাতীয় গ্রিডে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এলসি জটিলতায় কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় কয়লাসংকটে গত ১৪ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুদের সক্ষমতা রয়েছে তিন মাসের। নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের কয়লা মজুদ রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এত দিন কেন্দ্রটিতে কয়লার কোনো মজুদ ছিল না।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!