বিজেপির দলীয় বৈঠক থেকে মন্ত্রীত্ব যাওয়ার পর আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবার রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ তিনি আলবিদা রাজনীতি করে দিয়েছেন। ভালো কথা। কিন্তু তিনি পুত্রহারা ইমাম সিগবাতুল্লার কাছে কি ক্ষমা চেয়ে নেবেন? ২০১৮ সালের মার্চ মাসে আসানসোলে দাঙ্গা সংগঠিত করার নাটের গুরু কিন্তু তিনিই।
মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া ইমাম সিগবাতুল্লার ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা নৃশংসভাবে খুন করেছিল। লোপাট হয়ে যাওয়া সেই লাশ পুলিস তন্ন তন্ন করে খুঁজে উদ্ধার করেছিল। তারপর দাফন করার পর ইমাম নিজে গিয়ে মানুষের কাছে আহ্বান জানান, আমার ছেলের যতদিন হায়াত ছিল ততদিন সে বেঁচেছে। এরপর আসানসোলে যেন একটা রক্তপাত না হয়। মানুষ সেদিন স্তম্ভিত হয়ে যান। উত্তপ্ত আসানসোলকে সেদিন পুত্রহারা ইমাম সাহেব বরফে পরিণত করেছেন। আর সেদিন উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তিনিই উসকে দেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের সচেতন মানুষ সেদিন শান্তি মিছিল করেন ইমাম সাহেবকে নিয়ে।
এখন বাবুল সুপ্রিয়কে মন্ত্রীত্ব খোয়াতে হয়েছে। আর সেই পদ চলে যাওয়ার জন্য তিনি বিজেপিকে আলবিদা জানালেও তিনি এবার তৃণমূল আসার জন্য মরিয়া। এবার তৃণমূলের ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট।
রক্তরঞ্জিত যার হাত সেই বাবুল সুপ্রিয়কে কি মুসলিম সমাজ ক্ষমা করবে? মুছে যাবে কি আসানসোলের একতরফা দাঙ্গার চিত্র? বাবুল সুপ্রিয় কি পারবেন ইমাম সিগবাতুল্লার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে? আজ এই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।