বাংলাদেশের পাশাপাশি ক্যারিবীয় রাষ্ট্র গ্রানাডারও পাসপোর্ট রয়েছে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের।
ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ধারণা করা হয়েছিল, পি কে হালদার কানাডার পাসপোর্টধারী। আগামী ১৫ মার্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার পি কে হালদারের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্পর্কে তথ্য জানায় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী ১৫ মার্চ এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর দুদক ইমিগ্রেশন পুলিশকে ডাকযোগে চিঠি দেয় পি কে হালদার যেন দেশত্যাগ না করতে পারেন। ওই চিঠি ইমিগ্রেশন পুলিশ হাতে পৌঁছায় ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায়। তার ৫৩ মিনিট আগেই (২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে) পি কে হালদার বেনাপোল দিয়ে দেশত্যাগ করেন। অর্থাৎ পি কে হালদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির চিঠি পাওয়ার আগেই তিনি দেশত্যাগ করেন।’
এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পি কে হালদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কীভাবে দেশত্যাগ করলেন তা জানতে চান হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পি কে হালদার যেদিন দেশত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকা দাখিল করতে বলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেপ্তার করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার করে কানাডায় পাড়ি দেন পি কে হালদার। দেশত্যাগের সময় পি কে হালদার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম