আবারও উত্তাল ঢালিউড। জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানীকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলির হুমকি দিয়েছেন আরেক নায়ক জায়েদ খান। গত শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, জায়েদ খানের ওপর আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন ওমর সানী। তিনি মনে মনে জায়েদ খানকে খুঁজছিলেন। ডিপজলের ছেলের বিয়েতে তাকে পাবেন, এটা জেনেই সেখানে যান সানী। জায়েদকে দেখেই এগিয়ে যান তিনি এবং সজোরে চড় মারেন। বলতে থাকেন, “তোরে (জায়েদ) না নিষেধ করছি, আমার বউরে (মৌসুমি) ডিস্টার্ব করবি না। কোনো ফাজলামি করবি না। অসম্মান করে কথা বলবি না।”
চড় খাওয়ার পরপরই কোমর থেকে পিস্তল বের করেন জায়েদ খান। মুখে বলেন, ‘গুলি করে দেব’। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। তখন আশেপাশে সিনেমা অঙ্গনের আরও অনেকেই ছিলেন। ডিপজল তাদেরকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
পুরো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওমর সানী। তিনি বলেন, ‘বেয়াদবির একটা সীমা আছে। ও (জায়েদ) ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে সবার সঙ্গে বেয়াদবি করবে, সব মেয়ে মানুষের সঙ্গে বিকৃত আচরণ করবে, এসবের একটা সীমারেখা আছে। সে মৌসুমীর সঙ্গে বেয়াদবি করার চেষ্টা করেছে। আরও কিছু বিষয় আছে।”
ঘটনার ব্যাপারে ওমর সানী আরও বলেন, ‘আমি গিয়েই চড় মেরেছি। সে আমাকে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়েছে। তখন আমি একটি গালি দিয়েছি তাকে। এ সময় রোজিনা আপা, অঞ্জনা আপা, সুচরিতা আপা ওনারা উপস্থিত ছিলেন। এর চেয়ে বেশি কিছু আপাতত বলতে পারব না।’
এদিকে অভিনেতা ডিপজলও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাননি। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘হয়তো আগে থেকে তাঁদের মধ্যে রাগারাগি ছিল, এ কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। আমি বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, এর বেশি কিছু জানি না।’
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জায়েদ খান বলেছেন, ওমর সানী মাতাল ছিল, সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার কাছে পিস্তলই ছিল না। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে এরকম অভিযোগ আনা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সেটা এখনও চলমান। সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে শুনানি আছে। তাই আমার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্যই এসব বলা হচ্ছে। বক্তব্যের সত্যতা জানতে জায়েদ খান এই প্রতিবেদকে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই