রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পূর্ণ হলো রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। এই উপলক্ষ্যে সকালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। জাতি এই হত্যাকাণ্ডের শোক বয়ে চলছে।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিলম্বে বিচার হলে সেই বিচারের মূল্য থাকে না। অপরাধী শাস্তি পাবে সে বিষয়ে কিছু বলার নেই। তবে দোষীরা যেন আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে না যায়। বিচার কাজে হস্তক্ষেপ করা কোনো পক্ষরেই উচিৎ হবে না। আমরা চাই সঠিক বিচার হোক।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনা আজকে বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কার ছিল।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির এই দিনে সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে হলে ঢুকে পড়েন একদল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদের একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার।
তাদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়তে থাকেন সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। পরে পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনের ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি কোনো মামলার। দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ।
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অপর মামলাটি এখনো বিচারিক (নিম্ন) আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের গণ্ডি পার হয়নি। হত্যা মামলার আপিল শুনানি কবে শুরু হবে, তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
খুলনা গেজেট/এনএম