পিরোজপুরের নাজিরপুরে রাজু শেখ (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা বাথরুমে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সেখমাটিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজু শেখ উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং একই ইউনিয়নের সিদ্দিকুর রহমান শেখের ছেলে।
নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তাপস বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের সমর্থক হাফিজ শেখের নেতৃত্বে রাজু শেখকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এরপর তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা করা হয়। সম্প্রতি ওই মামলার আসামি আব্দুর রব ও লুৎফর রহমান কারাগার থেকে বের হন। তারা এলাকায় গিয়ে রাজু শেখের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এমনকি লাশ ফেলানোর হুমকি দেন।
রাজু শেখের চাচাতো ভাই আল আমিন শেখ বলেন, রাজু প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যেত। শুক্রবারও নামাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। নামাজ শেষে আর ঘরে ফেরেনি সে। পরে পরিবারের লোকজন রাজুকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে বাড়ির কাছে বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগানো তার মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
রাজু শেখের বাবা সিদ্দিকুর রহমান শেখ বলেন, রাজু আত্মহত্যা করতে পারে না। রাজু পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করেছে। কুপিয়ে জখমের মামলার আসামিরা রাজুকে মারার হুমকি দিয়ে আসছিল।
নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় রাজু শেখের বাবা সিদ্দিকুর রহমান শেখ বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের পরে তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম