পিরোজপুর-১ ও ২ সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এম কে রহমান, মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান খান, নাজমুল হাসান রাকিব ও সুমাইয়া ইফরিত বিনতে আহমেদ। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী।
পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং পিরোজপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
পিরোজপুর-১ আসন আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এখন নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে এ আসনে ইন্দুরকানি উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে। ইন্দুরকানি উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনে যুক্ত ছিল। এটি বাদ দিয়ে নেছারাবাদ উপজেলাকে আসনটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত ইসির গত ১ জুনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্থানীয় কয়েক বাসিন্দা পৃথক রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে পিরোজপুর-১ ও ২ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল খারিজ করে আজ রায় দেওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম