খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৮৭
  ঢাবির হলে পিটিয়ে যুবককে হত্যা: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩, তদন্ত কমিটি গঠন
  বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগ দিতে পূর্ণাঙ্গ রায়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

পিতার জনপ্রিয়তাকেও ছাড়িয়ে গেছেন নাসিমপুত্র জয়!

বিশেষ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা তানভীর শাকিল জয় জনপ্রিয়তায় এবার শুধু নিজেকে নয়, টপকে গেছেন প্রয়াত পিতা বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমকেও। তিনি ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে জয় পেয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক ভোটে।

বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, মোট ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৪ ভোটারের মধ্যে ১৭১ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজর ৭৯৩ টি। এর মধ্যে নাসিমপুত্র তানভীর শাকিল জয় পেয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩২৫ ভোট (৯৯.৭৫%)। অন্যদিকে তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সেলিম রেজা পেয়েছেন মাত্র ৪৬৮টি (০.২৫%)। সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, সদরের একাংশ ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-১ আসন।

এ আসনটি মূলত: আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে খ্যাত। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন থেকে শুরু করে সব ক’টি নির্বাচনে শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীসহ তার পরিবারের সদস্যরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রার্থী শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর নাতি ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম পুত্র প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় নিজেকে তো বটেই, জনপ্রিয়তার দিক থেকে পূর্বপুরুষদেরকেও টপকে গেছেন।

পরিসংখ্যান বলছে, তানভীর শাকিল জয়ের পিতা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম মোট ৬ বার নির্বাচিত হয়েছিলেন সিরাজগঞ্জ ১ আসন থেকে। ১৯৯১ সালে তিনি ৪৮ হাজার ৩৩৮ ভোট (৬১.৩%) পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আমির হোসেন ভুলু পেয়েছিলেন ২৬ হাজার ৬১৮ ভোট (৩৩.৮%) ভোট। মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৩৪২ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছিল ৭৮ হাজার ৮৫৩।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪৬ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছিল ৯২ হাজার ৬০২ ভোট। এর মধ্যে মোহাম্মদ নাসিম পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮৩ ভোট (৬৮%)। অন্যদিকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল মজিদ মিনু পেয়েছিলেন ২৩ হাজার ৯২৭ ভোট (২৬.১%)।

২০০১ সালের নির্বাচনে মোট ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৮ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ১৪১ ভোট। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিম পেয়েছিলেন ১ লাখ ০১ হাজার ৯৮১ ভোট (৭১.৭২%)। অন্যদিকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল মজিদ মিনু পেয়েছিলেন ৩৮ হাজার ২০২ ভোট (২৬.৮৬%)।

এক এগারো পরবর্তী ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩২ ভোট (৮০.৭%)। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল মজিদ মিনু পেয়েছিলেন ৪০ হাজার ৮১৪ ভোট (১৮.৫%)।

এছাড়া ১৯৮৬, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সিরাজগঞ্জ ১ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে সংসদে যান। গত ১৩ জুন এ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে জাতীয় সংসদ।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী, গত ১২ নভেম্বর ছিল আসনটিতে উপনির্বাচন। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হবে, এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু ভোটের হার সবাইকে রীতিমত চমকে দিয়েছে। বিশেষ করে বিজয়ী প্রাথী তানভীর শাকিল জয় প্রাপ্ত ভোটে নিজের জনপ্রিয়তাকে তো বটেই, টপকে গেছেন প্রয়াত পিতা বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমকেও। তিনি কাস্টিং ভোটের ৯৯.৭৫ % পেয়ে গড়েছেন নতুন রেকর্ড।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!