বাংলাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনার সঙ্গে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (আগের নাম টুইটার) এ অভিযোগ করে।
সেখানে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরের শেষে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনার জন্য স্থানীয় বিরোধী দলের একজন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ধরনের উদ্যোগ একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বড় ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, “আসন্ন নির্বাচন ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বচ্ছ’ হওয়া নিশ্চিত করার আড়ালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা আমরা অব্যাহতভাবে তুলে ধরেছি।”
গত বছর ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়ার একটি জাহাজ বাংলাদেশে আসা নিয়ে বড় ধরনের জটিলতার মধ্যে পড়ে ঢাকা। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিষিদ্ধ জাহাজের বিষয়ে সতর্ক করেছিল। এরপর বাংলাদেশ সেই জাহাজকে এ দেশের বন্দরে ভিড়তে দেয়নি। সে সময় নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিল রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি গত সপ্তাহে কালের কণ্ঠকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা, বিশেষ করে, বাংলাদেশিদের ইচ্ছার মাপকাঠির বাইরে থেকে নির্দেশ দেওয়ার প্রচেষ্টাকে অগ্রহণযোগ্য মনে করি।’
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যারা বাধা দেবে তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রসঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাইরে থেকে একতরফা বিধি-নিষেধমূলক ব্যবস্থা আরো ধ্বংসাত্মক। নিষেধাজ্ঞার চাপ যারা দেয় তারা ভালো উদ্দেশ্যের কথা বলে।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞার চাপ বাস্তবে সমাজে উত্তেজনা প্রশমন, মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি এবং সর্বোপরি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক বিকাশে খুব কমই সাহায্য করে।’
খুলনা গেজেট/কেডি