ফরিদপুরের মধুখালীতে পিকনিকের বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বাসে থাকা অর্ধশতাধিক যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার বাগাট খেলার মাঠসংলগ্ন এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়।
জানা যায়, উপজেলার কোড়কদি ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রাম থেকে একদল যুবক সুন্দরবন পিকনিকের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আলিফ মিম (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯৭৪৫) যাত্রীবাহী বাসে রওনা দেয়। কাটাখালি গ্রাম থেকে বাসটি ছেড়ে এসে বাগাট খেলার মাঠ এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে উঠতেই বাসটির পেছন দিকে আগুন জ্বলে ওঠে। আগুন ধরামাত্রই গাড়িটি থামিয়ে দিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনে পুরো বাসটিতে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় স্থানীয়রা মধুখালী ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এরই মধ্যে বাসের অধিকাংশ পুড়ে যায়। তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সব যাত্রীকে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী।
পিকনিকে যাওয়া ওই বাসের যাত্রী আরশাদ হোসেন বলেন, কাটাখালি গ্রাম থেকে আমরা সুন্দরবন পিকনিকে যাওয়ায় উদ্দেশে রওনা দেই। বাসটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাগাট খেলার মাঠের সামনে আসতেই বাসের পেছনে আগুন জ্বলে ওঠে। তাড়াতাড়ি সবাই বাস থেকে নেমে যাওয়ায় বাসের কোনো যাত্রীর ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বাসের পেছন দিকে জেনারেটর দিয়ে সাউন্ডবক্স বাজানো হচ্ছিল। ওই জেনারেটর থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার টিটব সিকদার জানান, বাসে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। কিন্তু আমরা আসার আগেই বাসটির অনেক অংশ পুড়ে যায়। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরও জানান, বাসের মধ্যে জেনারেটর দিয়ে সাউন্ড বক্স বাজানো হচ্ছিল। ওই জেনারেটর থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া গাড়িটির নতুন বডি ও রং করার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
মধুখালী থানার এসআই তাহসিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করি। মহাসড়কের ওপর অগ্নিকাণ্ডের কারণে সড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর যানজট নিরসন করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত আলিফ মিম পরিবহনের মালিক নজরুল সিকদার বলেন, গাড়িটির নতুন বডি করে আজই প্রথম রাস্তায় নামাই গাড়িটি। অনেক টাকা খরচ করে গাড়িটি রাস্তায় দিলাম, প্রথম দিনেই এই অবস্থা। আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম।
খুলনা গেজেট/কেএম