আমার বাংলা বই।তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক।জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশের প্রকাশক।পাঠ্যপুস্তকের প্রবন্ধে কবির বাল্যকালের কুস্তির ওস্তাদ ও বিজ্ঞান শিক্ষকের নাম উল্লেখ আছে। উল্লেখ নেই পিতা মাতার নাম ও জন্মস্থানের কথা।
রচিত গ্রন্থ প্রবন্ধটি ২৫ লাইনের। এখানে কোথাও তার উল্লেখযোগ্য কবিতার নাম উল্লেখ নেই। পাঠ্যপুস্তকটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে সংকলন ও রচনা করেন অধ্যাপক ডঃ শোয়াইব জিবরান, অধ্যাপক ডঃ সুমন সাজ্জাদ, অধ্যাপক ডঃ তারিক মনজুর, মোহাম্মদ মামুন আর রশিদ, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, মুরশীদা মল্লিক জাহান, মোহাম্মদ আব্দুল মুমিন মোছাব্বির।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ এ কে এম রিয়াজুল হাসান কথায় উল্লেখ করেন তৃতীয় শ্রেণির বাংলা পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভাষা শিক্ষার ভিত্তি মজবুত হবে।পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহজ হবে। ২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনের নিরিখে পাঠ্যপুস্তক সমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে। সময় স্বল্পতার কারণে কিছু ভুল ত্রুটি থেকে যেতে পারে।
খুবির সাবেক ট্রেজারার, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান বলছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক পরিচয় নেই। চারপাশের পরিবেশ ও পরিচিতি সম্পর্কে পরিষ্কার করে বলা হয়নি। পিতামাতা, ভাইবোন, স্ত্রী, সন্তানদের কথা উল্লেখ নেই। এ প্রবন্ধে ধারাবাহিকতা নেই। একটি স্থানে স্ব বিরোধিতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের বইতে বিগত সরকারের অনেকের বিষয় পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন পাঠ্য পুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়টি নতুন ভাবে রাখা হয়েছে। ইতিহাস বিষয়ক একাধিক বইতে বলা হয়েছে ২৬ মার্চ মেজর জিয়া কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আবারও স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আগের বইতে ছিলো বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হবার আগে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
খুলনা গেজেট/এমএম