খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১৫
  ময়মনসিংহে ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু
  এমন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যা নিয়ে দুনিয়ার সামনে গর্ব করা যায়, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বকে সতর্কবার্তা

পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি দেখছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়াদের নিয়ে কাজ করা শান্তিতে নোবেলজয়ী জাপানি সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিওর নেতারা বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে সংগঠনটি বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়েছে।

নাগাসাকিতে ১৯৪৫ সালে মার্কিন বোমা হামলার ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া ও নিহন হিদাঙ্কিও গ্রুপের সহ-প্রধান শিগেমিৎসু তানাকা বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে এবং এখনও যুদ্ধ চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিও দিচ্ছে।’’

পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জনমত গড়ে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছে জাপানি সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিও। সংগঠনটির নেতা তানাকা বলেন, ‘‘আমি ভয় করছি যে, মানবজাতি হিসেবে আমরা নিজেদের ধ্বংস করার পথে চলছি। এটি থামানোর একমাত্র উপায় পারমাণবিক অস্ত্রের বিলুপ্তি।’’

১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী সংগঠনের নাম ঘোষণায় নোবেল ইনস্টিটিউ বলেছে, ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিও বিশ্বকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার জন্য নিরলসভাবে যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এবারের শান্তির নোবেল তারই স্বীকৃতি।

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রধান জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেছেন, হিবাকুশা নামেও পরিচিত এই সংগঠনটি “পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব অর্জনের প্রচেষ্টা এবং এই বিপর্যয়কে নিজের চোখে দেখে আসা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সবার সামনে তুলে ধরে পারমাণবিক অস্ত্র আর কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়” এমন প্রচারণার জন্য এই পুরস্কার পেয়েছে।

নিহন হিদাঙ্কিও একটি পরমাণু অস্ত্র-বিরোধী সংগঠন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাদের নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে পরমাণু-অস্ত্র বিরোধী প্রচারণা শুরু করে ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি।

জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলছেন, “১৯৪৫ সালের আগস্টের পারমাণবিক বোমা হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলনের উদ্ভব হয়েছিল; যার সদস্যরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিপর্যয়কর মানবিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।”

সূত্র: রয়টার্স

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!