বিগত কয়েকদিনে বাংলাদেশে পালিত হয়েছে বেশ কিছু উৎসব পার্বণ। রোজা, ঈদ বা পহেলা বৈশাখ- সব মিলিয়ে এই উৎসবগুলোতে অনেকটাই ভারী খাবার খেয়েছেন মানুষ। অনেক তো হলো পোলাও রোষ্ট খাওয়া, এবার তাই অনেকেই ঝুঁকছেন হালকা ধরণের খাবারের দিকে। তীব্র গরমে যেন হালকা খাবারই আরামদায়ক।
বিশেষ করে ভর্তা ভাত যেন অমৃতের নাম। খুদের ভাত কিংবা পান্তা ভাতের সাথেই ভর্তা বেশি জমে। তাই চলুন কিছু চটজলদি ভর্তার রেসিপি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই আসবে রসুনের ভর্তা
কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তাতে রসুনের কোয়া ভেজে নিন। নরম হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার একই কড়াইয়ে আরেকটু তেল নিয়ে ২-৩টি শুকনা মরিচ ভেজে নিন। ভাজা হয়ে এলে মরিচ তুলে নিয়ে এবারে কালো জিরা ও পেঁয়াজ কুঁচি ভেজে নিন এবার একটি পাত্রে লবণ আর ভেজে রাখা শুকনো মরিচ কচলে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার একে একে পেঁয়াজ, রসুন, কালোজিরা, ধনেপাতা কুঁচি একসাথে মিশিয়ে নিন ভালো করে। সাথে একটু লেবুর রসও যুক্ত করতে পারেন। তৈরী হয়ে যাবে রসুনের ভর্তা।
টমেটো ভর্তা
প্রায় অনেক তরকারীতেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে এটি। চাইলে এটির ভর্তাও করতে পারেন। এজন্য প্রথমে কড়াইয়ে অল্প একটু সরিষার তেল গরম করে তাতে রসুন ও শুকনা মরিচ ভেজে তুলে নিন। এবার টমেটো কেটে ভেজে নিন। হালকা পোড়া হয়ে এলে তুলে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে লবণ, ভেজে রাখা মরিচ ও রসুন একসাথে কচলে মেখে নিন। এবার পেঁয়াজ কুঁচি, ধনেপাতা কুঁচি এবং ভেজে রাখা টমেটো দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। চাইলে একটু লেবুর রস কিংবা চিনিও যুক্ত করতে পারেন। পরিবেশন করুন গরম গরম ভাতের সাথে।
চিংড়ি ভর্তা
চিংড়ি আমাদের অতি পরিচিত মাছ। এটি ভর্তা বানিয়েও খেতে পারেন। এজন্য প্রথমে চিংড়ি লাল করে ভেজে নিন। এরপর এর সাথে শুকনা মরিচ, পেঁয়াজ কুঁচি ও রসুন মিশিয়ে শিল-পাটায় বেটে নিন। বাটা হয়ে এলে মিশ্রণটি হালকা তেলে একটু নেড়ে নিন। এতে যুক্ত করুন স্বাদমতো লবণ। এবারে একটি পাত্রে নিয়ে কাঁচামরিচ কুঁচি ও ধনেপাতা কুঁচি মাখিয়ে পরিবেশন করুন।