কক্সবাজার থেকে টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণ হওয়া তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মুক্তিপণ দিতে না পারায় তাদের হত্যা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশের দুটি টিম।
হত্যাকাণ্ডের শিকার তিন বন্ধু হলেন, ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউসুফ, চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের রুবেল ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।
নিহতদের পারিবার সূত্রে জানা গেছে, ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে যান তিন বন্ধু। পথিমধ্যে তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের পাহাড়ের গহিন জঙ্গলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও পাঠায় অপহরণকারী চক্রটি।
ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সংস্থায় যোগাযোগ করেন, কিন্তু গহিন জঙ্গল এবং অপহরণকারীরা বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তাদের উদ্ধার এবং জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করে র্যাব। পরে আটককৃত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন বন্ধুর লাশের সন্ধান মেলে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম বলেন, বুধবার আটককৃত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে টেকনাফের গভীর জঙ্গলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল রুবেল বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে টেকনাফ যান। এ সময় তার দুই বন্ধুও সঙ্গে যান। উপজেলার রাজারছড়া ফরেস্ট অফিস নামক স্থান থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। পরে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় অপহরণকারীরা তিনজনকে নির্যাতন করার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে পরিবারের কাছে পাঠায়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড