সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, রোববার দেশে যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটি সরকারের পাতানো ডামি নির্বাচন। এই নির্বাচন দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর প্রমাণ হচ্ছে যে, সারা দেশে অনেক কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি। এমনকি ভোটারও আসেনি। বিরোধী দল না থাকলেও ভোটের হার বাড়ানোর জন্য ভোট কারচুপি করেছে সরকার। এটিই প্রমাণ করে পাতানো ডামি নির্বাচনের ফাঁদে পা দেয়নি দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ।
সোমবার বেলা ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মঈন খান।
নির্বাচনের প্রতিবাদে আগামীকাল ও পরশু বিএনপি অসহযোগ অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। পরবর্তী কর্মসূচি এরপর জানানো হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সেই আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দল, আমরা লগিবৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা অন্যায়ভাবে কারও গায়ে হাত দিই না। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ ২২৪ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। এর আগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। তারা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
খুলনা গেজেট/এনএম