মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক থেকে ভুল, অসংগতি দূর করতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সুপারিশ চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে ভুল, অসংগতি দূর করতে এবং বিষয়বস্তু পরিমার্জন করতে এই সুপারিশ চাওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর পর্যালোচনা করে নির্দিষ্ট ছক ও নির্দেশনা অনুসারে সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাঠ্যপুস্তককে আরও যথাযথ, নির্ভুল ও আধুনিক করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা সোমবার (৭ জুলাই) এর মধ্যে হার্ড কপি ও সফট কপিতে (নিকোশব্যান, ১২ ফন্ট) সুপারিশগুলো govt.sec2@moedu.gov.bd ঠিকানায় ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দুধর্ম, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকগুলো পর্যালোচনা করে সংশোধনের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের প্রস্তাবে অধ্যায়, পৃষ্ঠা, লাইনের সুনির্দিষ্ট তথ্য, বর্তমান লেখা এবং সংশোধনের প্রস্তাবনা যুক্তি সহকারে তুলে ধরতে হবে।
পরিমার্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিখনফলের আলোকে সুপারিশ দিতে হবে। একই সঙ্গে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের খসড়া পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কিংবা পেশা-সংক্রান্ত কোনো বৈষম্যমূলক শব্দ, বাক্য, তথ্য কিংবা ছবি থাকলে তা চিহ্নিত করে সুস্পষ্টভাবে সংশোধনের প্রস্তাব দিতে হবে। এ ছাড়াও পাঠ্যপুস্তকে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দেশপ্রেম, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনাবিরোধী কোনো উপাদান থাকলে সেগুলোও সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে।
পর্যালোচনার সময় তথ্যসূত্র যাচাই করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানান অভিধান অনুসারে প্রয়োজনে বানান সংশোধনের প্রস্তাব দিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে কেবল ভুল সংশোধনের জন্য প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী সুপারিশের বাইরে যদি কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকে, সেগুলো আলাদা কাগজে নাম ও সইসহ সফট কপিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
গেজেট ডেস্ক/এসএস