খুলনাসহ সারাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ২১ টি পাটকলের শ্রমিকদের নোটিশ মেয়াদের ৬০ দিনের মধ্যে আগস্ট মাসের ৩০ দিনের অর্থ প্রদান করা হয়েছে। এসব পাটকলের ২৪ হাজার ৫৯৭ জন শ্রমিকের অবশিষ্ট ৩০ দিনের মজুরি বাবদ ৩১ কোটি ১২ লাখ ২৮ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার শ্রমিকদের নিজ নিজ ব্যাংকের হিসাবের মাধ্যমে এ অর্থ প্রদান করা হয়।
এর মধ্যে খুলনার সাতটি পাটকলের ১০ হাজার ৩৩২ জন শ্রমিকের জন্য ১৩ কোটি ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
বিজেএমসি ও পাটকলগুলোর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) খুলনা অঞ্চলের সাতটি পাটকলের ১০ হাজার ৩৩২ জন শ্রমিকের জন্য ১৩ কোটি ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা প্রদান করেছে। তবে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক হওয়ার কারণে খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিলের অর্থ বরাদ্দ হয়নি। এ দু’টি জুট মিল ব্যতীত খুলনার সাতটি পাটকলের নোটিশ মেয়াদের আগস্ট মাসের ৩০ দিনের অর্থ বাবদ আলীম জুট মিলের ৬৮০ জন শ্রমিকের ৮৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা, কার্পেটিং জুট মিলের ৩১৫ জন শ্রমিকের ৪০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, জেজেআই জুট মিলের ১ হাজার ৮১ জন শ্রমিকের ১ কোটি ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, ইস্টার্ণ জুট মিলের ৮৪৬ জন শ্রমিকের ১ কোটি ৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, ক্রিসেন্ট জুট মিলের ২ হাজার ৭৩৬ জন শ্রমিকের ৩ কোটি ২৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, প্লাটিনাম জুট মিলের ২ হাজার ৭৭৫ জন শ্রমিকের ৩ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্টার জুট মিলের ১ হাজার ৮৯৯ জন শ্রমিকের ২ কোটি ৪৪ লাখ ৫ হাজার টাকা।
প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার বিকেলে ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসে। পরবর্তীতে ব্যাংক থেকে আগস্ট মাসের ৩০ দিনের মজুরি উত্তোলন করেছি।
এ বিষয়ে বিজিএমসি খুলনার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী (চলতি দায়িত্বে) ও প্লাটিনাম জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মোঃ গোলাম রব্বানী বলেন, আজ (সোমবার) বিকালে নোটিশ মেয়াদের ৬০ দিনের অবশিষ্ট ৩০ দিনের মজুরির টাকা শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। তবে খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিলের শ্রমিকরা দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করার কারণে তাদের অর্থ বরাদ্দ হয়নি।
এর আগে গত ২৭ জুলাই খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকদের জুন মাসের এক সপ্তাহ এবং নোটিশ মেয়াদের ৩০ দিনের মজুরি বাবদ ৪৩ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
খুলনা গেজেট / এমএম