ঝিনাইদহের কাজী আছহাবুল ইসলাম মান্ডু প্রমাণ করলেন পাখিকে ভালবাসতে কোন অর্থ বিত্ত লাগেনা। ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে পাখি প্রেমিক মান্ডু প্রতিদিন শত শত শালিকসহ ছোট পাখির খাবার দেন। প্রতিদিন পাখিদের জন্য আলাদা খাবারের ব্যবস্থা রেখেছেন তিনি। ভাজা, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট বাড়িতে অবশিষ্ট যা থাকে সেগুলো পাখিদের জন্য রেখেদেন এবং সকাল বেলা দোকান খোলার আগে পাখিরা তার দোকানের আশেপাশে ঘুরঘুর করে আর তিনি খাবার তাদের সামনে বিলিয়ে দেন।
আলাপচারিতায় কাজী আছহাবুল ইসলাম মান্ডু জানান, একসময়ের প্রচন্ড ডানপিটে অতপরঃ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রঃ) স্যারের একান্ত প্রিয় ভাজন ব্যক্তিতে পরিনত হন। স্যার তাকে খুব ভালবাসতেন। ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রঃ) স্যারের সাথে পবিত্র হজ্ব করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। পবিত্র মক্কা ও মদিনাতে স্যারের সাথে কাটানো সময়, খেদমত ও মূল্যবান বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মুলক গল্প মান্ডুকে আল্লাহ প্রেমিক করে তোলে। ইতিমধ্যেই তিনি ফিলিস্তিনদের জন্য অর্থ সংগ্রহসহ বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে অংশ গ্রহণ করে চলেছেন।
আর, টি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার রোকনুজ্জান রাকিব বলেন, কাজী আছহাবুল ইসলাম মান্ডুর পাখির প্রতি ভালবাসা এক অনন্য উদাহরণ। এটা দেখে অনেকেই পাখি প্রেমে উৎসাহিত হবে। আল্লাহর সৃষ্টি জগতের প্রতি মহব্বতের কারণেই পাখিদের প্রতি বিরল ভালবাসা প্রদর্শন করে চলেছেন বলে মনে করেন তিনি।
কাজী আছহাবুল ইসলাম মান্ডুর স্ত্রী ছেলে দু’জন হাফেজ ও মেয়ে আস-সুন্নাহ ট্রাষ্টে পড়া শেষ করে ঝিনাইদহ বালিকা বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তারাও পাখিদের সাথে সখ্যতা তৈরি করেছেন। জাহানারা এন্টারপ্রাইজ নামে বাসার নিচে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখান থেকেই প্রতিদিন পাখিরা ওগুলো খেয়ে তৃপ্তি লাভ করে। প্রতিদিন তিনি ভাজা, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট কেনার জন্য বরাদ্দ রাখেন। এগুলো বিলিয়ে দিয়ে তিনি আনন্দ উপভোগ করেন।
খুলনা গেজেট/এমএম