কোভিড-১৯ এর প্রকোপে স্থগিত হয়ে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ম্যাচগুলো দ্রুতই আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) বন্দোবস্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই একই মাসে নভেম্বরে পিএসএলে বাকি পাঁচটি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
গত মার্চ মাসে একে একে সব আন্তর্জাতিক সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরেও চলমান ছিল পিএসএল। তবে টুর্নামেন্ট শেষ করা আর সম্ভব হয়নি। প্লে-অফের পাঁচটি ম্যাচ বাকি থাকতেই টুর্নামেন্ট তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দিতে হয়। করোনাভাইরাসের প্রকোপে পাকিস্তানের অবস্থাও সুবিধাজনক নয়। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সময়ের সাথে সাথে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছ।
প্রায় চার মাস স্থবির থাকার পরে ক্রিকেট মাঠগুলোতে ব্যাট-বলের লড়াই ফিরতে শুরু করেছে। এখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) আশাবাদী পিএসএলের স্থগিত হয়ে যাওয়া ম্যাচগুলো দ্রুতই আয়োজনের ব্যাপারে। প্রাথমিকভাবে ধরা হয়েছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহের ১২ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে।
বিদেশি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে পিসিবি। সেক্ষেত্রে সমস্যা হলে সিংহভাগ ক্রিকেটার এশিয়ার ক্রিকেটারকে দেখা যেতে পারে পিএসএলে। স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য নিয়মনীতির কারণে বিভিন্ন দেশের বিদেশি খেলোয়াড়দের পাকিস্তান ভ্রমণে সমস্যা এশিয়ান ক্রিকেটারদের নিয়েই টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে পিসিবি।
মধ্যে ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে পাকিস্তানের করাচিতে। স্টেডিয়ামে সীমিত সংখ্যক দর্শকদের ঢোকার অনুমতিও দেওয়া হবে জানিয়েছে পিসিবি সূত্র। সেক্ষেত্রে দর্শকদের জন্যও থাকবে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি ও কড়া নিয়ম।
খুলনা গেজেট/এএমআর