ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। এখনও অবশ্য চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি দুই বোর্ড। তবে ইংলিশ কোচ ক্রিস সিলভারউড সফরটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। জানিয়েছেন, পাকিস্তানে যেতে প্রস্তুত তার দল।
নিরাপত্তা শঙ্কায় ২০০৫ সালের পর আর পাকিস্তান সফরে যায়নি ইংল্যান্ড। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরের ৬ বছর দেশটিতে হয়নি কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে গত ১২ মাসে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সেখানে খেলে এসেছে টেস্ট। এর আগে গত কয়েক বছরে সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলেছে কয়েকটি দল।
কিছু দিন আগে কুমার সাঙ্গাকারার নেতৃত্বে খেলে এসেছে এমসিসির একটি দল। কিন্তু গত ১৫ বছরে ইংল্যান্ড একবারও পাকিস্তানে যায়নি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাঝে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশটিতে লম্বা সফরে যেতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান। গত ২৯ জুন দেশটিতে পৌঁছানোর পর থেকে ‘লকডাউনে’ তারা। ম্যানচেস্টারে বুধবার শুরু হয়েছে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
কঠিন সময়ে ইসিবির পাশে দাঁড়ানোর পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চাওয়া, তাদের দেশে খেলতে যাক ইংল্যান্ড দল। ২০২২ সালের আগে যদিও আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচিতে ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফরের কোনো সুযোগ নেই। তবে মাঝের সময়ে ইংল্যান্ড জাতীয় দল টি-টোয়েন্টি সিরিজ কিংবা ইংল্যান্ড লায়ন্স (যুব দল) সংক্ষিপ্ত সফরে পাকিস্তানে আসুক, এমন চাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছেন পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইংলিশ কোচ সিলভারউডও শোনালেন তেমন কোনো সফরের ভাবনার কথা।
“আমার মনে হয়, আমরা সেখানে (পাকিস্তান সফরে) যেতে পারি। ব্যক্তিগতভাবে, আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি কখনও পাকিস্তানে যাইনি। তাই সেখান যাওয়াটা বেশ ভালোই হবে।”
খুলনা গেজেট/এএমআর