খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ১০ শিশুর মৃত্যু

পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ইমরান-সমর্থকদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নির্বাচনের ফলাফল ইস্যুতে বিক্ষোভ-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের এক পোস্টে ইসলামাবাদ পুলিশ বলেছে, কিছু মানুষ নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সরকারি অফিসের সামনে উসকানিমূলক জমায়েত করছে। পরিষ্কারভাবে বলা হচ্ছে, গণজমায়েতের জন্য উসকানি দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ।

এদিকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় জটিল হয়ে উঠছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আজ দেশটির রাজধানীসহ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়। এসব বিক্ষোভ থেকে ইমরান খানের সমর্থকদের গ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ।

নির্বাচনে ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নাটকীয়তা। ফল ঘোষণায় অস্বাভাবিক বিলম্ব, পুলিশের নির্বিচার গুলি বর্ষণ, গণগ্রেপ্তারের ফলে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে। এরই মধ্যে বিক্ষোভের ডাক দেয় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই। সেই বিক্ষোভে যোগ দেয় আরও কয়েকটি দল।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ থামাতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্দোলকারীদের ঠেকাতে জলকামানসহ কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বৃতস্পতিবার পাকিস্তানে নির্বাচন হলেও ফলাফল ঘোষণা নিয়ে গড়িমসি করায় পিটিআইসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল। পরে তাদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে দেশটির রাজধানী। এতেই নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণের তিন দিন পর ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। একটি আসনে ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।

রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে পুরো পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। যদিও প্রথমে পিটিআই তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন শহরে জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দলটি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হওয়ার বদলে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করে রাখার কর্মসূচি দেয় তারা।

ভোটের ফল ঘোষণা শেষ হওয়ায় সামনে পাকিস্তানে ৪টি ঘটনা ঘটতে পারে। সেগুলো হলো-

১। পিপিপির বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও অন্য ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট করে সরকারে আসতে পারেন নওয়াজ শরিফ।

২। ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অন্য দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৩। জোট সরকারের প্রধান নিজ দল থেকে করার জন্য চাপ দিতে পারে পিপিপি। কেননা পিপিপি ছাড়া কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারবে না। ইতোমধ্যে পিপিপি নওয়াজ শরিফের কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ দাবি করেছে বলে শোনা যাচ্ছে।

৪। দেখা গেল দেন-দরবার করে কোনো দলই জোট সরকার গঠন করতে পারল না। সে ক্ষেত্রে দেশের শাসনভার শক্তিশালী সেনাবাহিনী গ্রহণ করতে পারে। এমন ইতিহাস পাকিস্তানে রয়েছে। ফলে এমনটা ‍যদি ঘটেই তাহলে অবাক হওয়ার তেমন কিছু থাকবে না।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!