পাকিস্তানের পেশোয়ারে গতকাল সোমবার নামাজের সময় এক মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার মসজিদের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও ৯ লাশ উদ্ধার করা হলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় বেলা দেড়টা অর্থাৎ জোহরের নামাজের সময় ঐ বিস্ফোরণের সময় মসজিদটি মুসল্লিতে ঠাসা ছিল।
দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, মসজিদটির একাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জিও নিউজ বলছে, আত্মঘাতী হামলাকারী নামাজের সম্মুখ সারিতে ছিল। তিনি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। দেশটির পুলিশ বলছে, হামলায় মসজিদের ইমামও নিহত হয়েছেন।
ইতোমধ্যে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই- তালেবান পাকিস্তান। পাকিস্তানের সরকারি একজন কর্মকর্তা বলেছেন হামলার টার্গেট ছিল সম্ভবত পুলিশ কারণ নিহতদের সিংহভাগই ছিল ঐ বাহিনীর সদস্য।
পেশোয়ার নগর পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইজাজ খান স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন বিষ্ফোরণের সময় ঐ এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। পেশোয়ারের লেডি রেডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম বলেন, আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। তিনি বলেন, জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই হামলার পেছনের লোকদের সংগে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নেই। বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শরিফ বলেন, সন্ত্রাসের এই হুমকি মোকাবেলায় জাতি ঐক্যবদ্ধ।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস