পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পেশওয়ার শহরের একটি থানায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে অন্তত তিন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী তালিবান। পাকিস্তানি তালিবানের ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সদস্যদের একটি দল শনিবার হামলা চালিয়ে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তাও রয়েছেন বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
পেশোয়ার পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কাশিফ আব্বাসি বলেন, প্রায় ছয় থেকে সাতজন সন্ত্রাসী খাইবার উপজাতীয় জেলার সীমান্তবর্তী সারবন্দ থানায় হ্যান্ড গ্রেনেড, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র এবং স্নাইপার নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
শনিবারের এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের কট্টরপন্থী ইসলামীগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। টিটিপির হামলায় নিহত তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে পেশোয়ারের উপ-পুলিশ সুপার (ডিএসপি) সরদার হুসাইন ও দুই কনস্টেবল রয়েছেন।
খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশের প্রধান মোয়াজ্জাম জাহ আনসারি বলেছেন, থানায় সন্ত্রাসী হামলা সফলভাবে নৎসাত করে দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, পেশোয়ারের উপ-পুলিশ সুপার সরদার হুসাইন থানা ভবনে প্রবেশের সময় গুলিতে আহত হয়েছিলেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মেহমুদ খান এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুলিশের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। হামলাকারীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চলছে।
এক বিবৃতিতে টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খুরাসানি বলেছেন, মুজাহিদিনরা লেজার বন্দুক দিয়ে পেশোয়ারের দু’টি পুলিশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছেন। টিটিপি হামলা চালিয়ে একজন ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে।
হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে তালেবান। পাশাপাশি দু’টি কালাশনিকভ, দু’টি ম্যাগাজিন ও ৪৭ হাজার রুপিও ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে টিটিপি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড