পাকিস্তানের রানের চাপে পিষ্ট হয়নি বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের দুর্দান্তভাবেই জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ। তার প্রমাণ তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোরকার্ড। চার ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩১৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় সেশনে পাকিস্তানি বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিশেষ করে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। ষষ্ঠ উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছেন দুজনে। রাওয়ালপিন্ডিতে লিটন ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করেছেন।
ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি করার পথে নাসিম শাহর এক ওভারে ১৮ রান নিয়েছেন তিনি। ওই ওভারেই ৫২ বলে ফিফটিও পূর্ণ করেন তিনি। অন্যদিকে অ্যাংকরের ভূমিকা পালন করা মুশফিক ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি পেয়েছেন। আগামীকাল পাকিস্তানের চেয়ে ১৩২ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শুরু করবেন তারা।
মুশফিকের ৫৫ রানের বিপরীতে ৫২ রানে অপরাজিত আছেন লিটন।
এর আগে গতকালের দলীয় ২৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। তবে শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় সংগ্রহে ৪ রান যোগ হতেই মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত ক্যাচে ড্রেসিংরুমে ফেরেন জাকির হাসান। নাসিম শাহর বলে ১২ রানে উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের হাতে তালুবন্দি হন বাঁহাতি ব্যাটার।
পরে দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও দ্রুত ফেরেন। খুররাম শেহজাদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিলেন ১৬ রান করা শান্ত।
দলীয় ৫৩ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেন সাদমান ইসলাম-মমিনুল হক। তৃতীয় উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করে দেন তারা। ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশন শুরু করে ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটি পাওয়ার পরেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন মমিনুল। বাংলাদেশের সেই পুরনো রোগ। বিরতির পরপরই উইকেট হারানো। খুররম শেহজাদের ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হন তিনি। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলিয়ে এর আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকেও বোকা বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন পাকিস্তানের এই পেসার।
কাঁটায় কাঁটায় ৫০ রান করে ফেরেন মমিনুল। সাবেক অধিনায়কের আগেই ফিফটি পান দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় পর এই টেস্ট দিয়ে দীর্ঘ সংস্করণে ফেরা সাদমান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথেও ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন চোটাক্রান্ত মাহমুদুল হাসান জয়ের বদলে সুযোগ পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৭ রানের আক্ষেপ। ২৮৩ বলের ইনিংসটি থামে ৯৩ রানে। প্রত্যাবর্তনের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১২ চারে।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে কোনো কথা বলায় সমালোচনার মুখে থাকা সাকিব আল হাসানের সামনে সুযোগ ছিল ব্যাটিংয়ে দারুণ কিছু করে জবাব দেওয়ার। সঙ্গে দলকে সুবিধাজনক এক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার। তবে কোনোটাই তিনি করতে পারেননি। ভালো শুরু করেও ১৬ বলে ১৫ রান করে ‘পার্টটাইম স্পিনার’ সাইম আইয়ুবের বলে শান মাসুদকে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। পরে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি মুশফিক-লিটন। বাংলাদেশের জন্য আরো স্বস্তির সংবাদ ৩টি রিভিউ শেষ হয়েছে পাকিস্তানের।
খুলনা গেজেট /কেডি