ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখের কিছু অংশ ও পশ্চিম গুজরাটের জুনাগড়কে নিজেদের ভূখণ্ডে দেখিয়ে পাকিস্তান যে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে তাতে তীব্র সমালোচনা করেছে দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বলা হয়েছে, এই নতুন পাকিস্তানি মানচিত্র আদতে রাজনৈতিক অবাস্তবতা ও অর্থহীন। এই হাস্যকর পদক্ষেপের কোনো আইনি বৈধতা নেই। আন্তর্জাতিকভাবেও কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি বলছে, দিল্লির পক্ষ থেকে নতুন মানচিত্রকে হাস্যকর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে থাকা বিশেষ মর্যাদা তুলে ফেলার এক বছর পূর্তির আগে এটি প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এটি প্রকাশ করেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাকিস্তানের যে তথাকথিত ‘রাজনৈতিক মানচিত্র’ প্রকাশ করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে। এই নতুন মানচিত্র আদতে রাজনৈতিক অবাস্তবতা ও অর্থহীন। ওই মানচিত্রে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু, কাশ্মীর, লাদাখ ও একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ্য গুজরাটের পশ্চিম অংশের বেশ কিছু এলাকাকে যেভাবে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে দেখানো হয়েছে, তা কখনওই সমর্থন করা যায় না। এই হাস্যকর পদক্ষেপের যেমন কোনো আইনি বৈধতা নেই, তেমনই নেই কোনো আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাও।
পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম জিয়ো নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার বৈঠকে কাশ্মীরকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্রটির অনুমোদন দেয়া হয়। এখন থেকে এটিই পাকিস্তানের মানচিত্র হিসেবে বিবেচিত হবে বলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন।
৩৭০ ধারা বিলুপ্তির বর্ষপূর্তির ঠিক এক দিন আগে ইমরান খানের এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে ইমরান খান বলেন, এটি পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ঐতিহাসিক দিন। এই প্রথমবার ভারত অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের এতে সায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি ভারত সরকারের গত বছরে নেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও একটি প্রতিবাদ। খুব শিগগিরই এটি জাতিসংঘে উত্থাপন করা হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে প্রথমবার বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।