ভারতীয় হামলার পর পাকিস্তানের কড়া জবাবের মুখে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর একটি পোস্টে সাদা পতাকা উড়িয়ে পরাজয় স্বীকার করলো ভারত।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এই দাবি করেন। পহেলগাম হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ ভারত দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
তারার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পাঞ্জাব এবং আজাদ কাশ্মীরের শহরগুলিতে পরিচালিত হামলায় ভারতীয় বাহিনী নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
পাকিস্তান অবজারভারের খবরে বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চুরহা কমপ্লেক্সে সাদা পতাকা উত্তোলন করেছে বলে জানা গেছে।
পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের কয়েকটি শহরে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাল্টা হামলা চালিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের পর পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সমস্ত যুদ্ধ বিমান নিরাপদে রয়েছে।
বিধ্বস্ত হওয়া ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) যুদ্ধ বিমানগুলির মধ্যে তিনটি ফরাসি তৈরি রাফায়েল, একটি এসইউ৩০এমকেআই এবং একটি এমআইজি-২৯ ফুলক্রাম রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন সামরিক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) ধুন্দিয়াল সেক্টরে একটি শত্রু পোস্টও ধ্বংস করার দাবি করেছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তীব্র গুলি বিনিময় চলছে।
এর আগে পাকিস্তানের কোটলি, বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ এবং মুজাফ্ফরাবাদ সহ ছয়টি স্থানে ভারত হামলা চালায়। পাকিস্তান আইএসপিআর জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলায় আটজন পাকিস্তানি নিহত, ৩৫ জন আহত হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী বুধবার ভোরে বলেছেন, পাঞ্জাব এবং আজাদ কাশ্মীরের কয়েকটি শহরে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে আটজন পাকিস্তানি শহীদ এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
ডিজি আইএসপিআর বিস্তারিতভাবে জানিয়ে বলেন, ভারত পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ২৪টি আক্রমণ চালিয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্যবস্তুই ছিল বেসামরিক স্থাপনা, যার বেশিরভাগই মসজিদ ছিল। ভারতীয় গোলাবারুদ আশেপাশের আবাসিক কাঠামোরও ক্ষতি করেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম