পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বিপদে পড়েছে ভারত। বিশ্লেষকরা মনে করছেন দেশটির এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর টিকিটের খরচ বেড়ে যাবে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যম আল-আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শীর্ষ এয়ারলাইনস এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোকে এখন অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ এবং দীর্ঘ যাত্রাপথের জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। কারণ পাকিস্তান তাদের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিমান সংস্থা দুটি জানিয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের গন্তব্যের ফ্লাইটগুলোকে বিকল্প দীর্ঘ পথ ব্যবহার করতে হবে। বিশ্লেষকদের মতে, আকাশে দীর্ঘ পথে উড়ান পরিচালনার কারণে বিমান সংস্থাগুলো টিকিটের দাম বাড়াতে পারে। বিশেষত আন্তর্জাতিক রুটে এই ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেক।
পাকিস্তানের এই আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় বিমান শিল্পের জন্য সর্বশেষ একটি বড় সমস্যা, যেখানে সম্প্রসারণ পরিকল্পনাগুলো ইতিমধ্যেই বোয়িং ও এয়ারবাসের বিমান সরবরাহ বিলম্বের কারণে জটিল হয়ে পড়েছে। একটি এয়ারলাইনের মোট পরিচালন ব্যয়ের প্রায় ৩০ শতাংশই জ্বালানি ও তেলের খরচ।
একজন ভারতীয় পাইলট রয়টার্সকে বলেছেন, এই পদক্ষেপ সময়সূচিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে এবং বিমান চলাচল সংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী ফ্লাইট আওয়ার হিসাব নতুন করে করতে হবে, সেই অনুযায়ী ক্রু ও পাইলটদের ডিউটি তালিকা সমন্বয় করতে হবে।
FlightAware-এর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে বাকুগামী ইন্ডিগো ফ্লাইট 6E1803 দীর্ঘপথে গিয়ে ৫ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট সময় নিয়েছে। এটি গুজরাট হয়ে আরব সাগরের ওপর দিয়ে ইরান পার হয়ে আজারবাইজানে গেছে। অথচ বুধবার একই ফ্লাইট পাকিস্তান আকাশসীমা ব্যবহার করে যেতে সময় নিয়েছিল ৫ ঘণ্টা।
পাকিস্তান বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা ২৩ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এদিকে ২০১৯ সালে ভারত সরকার জানিয়েছিল, তখনকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে প্রায় পাঁচ মাস পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগোসহ অন্যান্য এয়ারলাইনগুলোর সম্মিলিত ক্ষতি হয়েছিল কমপক্ষে ৬৪ মিলিয়ন ডলার।
খুলনা গেজেট/এএজে