পাকা আমের মধুর স্বাদের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ একটি বছর। পুষ্টিগুণের দিক থেকেও এ ফল সেরা। পাকা আম দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার উপায় অনেকেরই জানা নেই । কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো মেনে খুব সহজেই পাকা আম সংরক্ষণ করতে পারবেন এক বছর পর্যন্ত। সে সব উপায় জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।
আম কেটে বা জিপলক ব্যাগে সংরক্ষণ:
প্রথমে বেছে বেছে পাকা ও দাগমুক্ত আম নিন। যেসব আমে আঘাত লেগেছে বা ফেটে গেছে সেগুলো বাদ দিন। কারণ এ ধরনের আম সংরক্ষণ করলেও তা বেশিদিন ভালো থাকে না। এবার আমগুলো পানিতে ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। খোসা ছাড়ানোর পর আর ধোয়ার দরকার নেই।
খোসা ছাড়ানো আমগুলো ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন। এবার একটি জিপলক ব্যাগে রাখুন। একসঙ্গে অনেকগুলো টুকরা না রেখে কয়েকটি করে রাখুন। এবার ব্যাগের মুখ বন্ধ করে একটি বাটিতে ঢুকিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে সংরক্ষণ করলে সারা বছরই ভালো থাকবে।
আস্ত আম সংরক্ষণ:
পাকা আম সংগ্রহ করুন। সেখান থেকে থেঁতলে যাওয়া, পচা ও পোকা ধরা ফলগুলো সরিয়ে ফেলুন। বাকি আম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। মনে রাখতে হবে আমের ওপর যেন কষ লেগে না থাকে। এবার নরম কাপড় দিয়ে আমগুলো মুছে ফেলুন। আস্ত আম সংরক্ষণ করতে চাইলে তিন ধরনের ব্যাগ লাগবে। কাগজের, কাপড়ের ও পলিথিন ব্যাগ সংগ্রহ করুন। শুকনো আমগুলো প্রথমে কাগজের ব্যাগে ঢুকিয়ে নিন। কাগজের ব্যাগ পাওয়া না গেলে পত্রিকা দিয়ে মুড়িয়েও রাখতে পারেন। সেগুলোকে কাপড়ের ব্যাগে এবং কাপড়ের ব্যাগটাকে পলিথিন ব্যাগে ঢুকিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।
আইস পদ্ধতি:
এ পদ্ধতির জন্য প্রথমে আমগুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এরপর বরফ বা আইসক্রিম জমানোর পাত্রে টুকরোগুলো জমিয়ে নিন। জমে যাওয়ার পর আমের টুকরোগুলো ফ্রিজ থেকে বের করে জিপলক ব্যাগে ঢুকিয়ে নিন। এরপর ব্যাগটি একটি বাটিতে রেখে মুখ বন্ধ করে দিন। এবার সেই বাটি রাখুন ডিপ ফ্রিজে। এভাবে রাখলে সারা বছর সুস্বাদু আম খেতে পারবেন।
আম পাল্প সংরক্ষণ:
পাকা আম খোসা ছাড়িয়ে বেন্ড করে নিন। এবার সেই পাল্ড ডিপ ফ্রিজে জমিয়ে নিন। এরপর জমে যাওয়া আমের পাল্প জিপলক ব্যাগে ভরে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এটিও প্রায় এক বছর সংরক্ষণ করতে পারবেন। এ পাল্প দিয়ে লাচ্ছি, স্মুদি, পুডিং, জুস, আইসক্রিম ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন।
খুলনা গেজেট/এমএম