এশিয়া কাপের মর্যাদার লড়াই। এক একটি বল যেন নতুন নতুন উত্তেজনা। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাওয়ার প্লে’টা ঠিক মনের মতো করে কাটাতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম ৬ ওভারে তারা হারিয়ে বসেছে দুই টপঅর্ডার বাবর আজম আর ফাখর জামানকে। দুজনই আউট হয়েছেন সমান ১০ রান করে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে তুলে দেন প্রথম ওভার।
অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রথম ওভারেই পাকিস্তানকে চেপে ধরেন এই পেসার। ওভারের দ্বিতীয় বলেই আবেদন। ভুবনেশ্বরের বাউন্সারটি গিয়ে আঘাত করে রিজওয়ানের ভেতরের পায়ে। আবেদনে সাড়াও দেন বাংলাদেশের আম্পায়ার মাসুদুর রহমান।
আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলে সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন রিজওয়ান। রিভিউতে দেখা যায়, বল চলে যেতো স্টাম্পের অন্তত তিন থেকে চার ইঞ্চি ওপর দিয়ে। সুতরাং, নট আউট। রিভিউ নিয়ে এ যাত্রায় বেঁচে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
ওভারের শেষ বলে আবারও ব্যাটার রিজওয়ান। অফ স্টাম্পের বাইরে বলটি খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিকের হাতে। ফের আউটের আবেদন তোলে ভারতীয়রা। আম্পায়ার মাসুদুর থাকেন নির্বিকার। এবার ভারত নেয় রিভিউ।
এবারও বেঁচে যায় পাকিস্তান। রিভিউতে দেখা যায়, বল ব্যাটকে ছুঁয়ে যায়নি, একেবারে কাছ ঘেঁষে চলে যায়। ফলে দুই দুইবার আউটের খুব কাছে এসেও আউট হননি রিজওয়ান।
এক ওভার পর এসে ভুবনেশ্বরই ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ভুবনেশ্বরের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন বাবর। ৯ বলে তিনি করেন মাত্র ১০ রান।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ফাখর জামানের জুটিটি যখন থিতু হওয়ার পথে, তখনই ফাখরকেও হারিয়ে বসেছে পাকিস্তান। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে আভেশ খানের বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে আউট হন ফাখর (৬ বলে ১০)।
আভেষ খানের এক্সট্রা বাউন্সারে উইকেটের পেছনে দীনেশ কার্তিকের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফখর। যদিও ভারতের ফিল্ডাররা আবেদন করেননি। এমনকি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলও আউট দেননি। তবে সততার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে নিজে থেকেই মাঠ ছাড়েন ১০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার।