সাতক্ষীরায় পাওনা টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ নারীর মরদেহ মিললো হাসপাতালে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর রাত ২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে সালমা বেগম নামের ওই নারীর মৃতদেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়। রাত দুই টার দিকে একজন নারী ও একজন পুরুষ একটি ভ্যানে করে ওই নারীর মরদেহ হাসপাতালে এনে জরুরী বিভাগের সামনে রেখে চলে যায়। মৃত সালমা বেগম সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
মৃতের ভাই সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর চেকপোষ্ট এলাকার মৃত নূরউদ্দিন মোড়লের ছেলে মোঃ শাহীনুর রহমান জানান, তার ভগ্নিপতি আব্দুর রাজ্জাক ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সাড়ে আট মাস আগে মারা যায় ভাগ্নি (বোনের মেয়ে) শামি। এরপর থেকে ছেলে সোয়েলকে নিয়ে দিন কাটাতেন তার বোন সালমা। সোমবার সন্ধ্যায় সালমা ধুলিহরের এক দেনাদার পারভিনের কাছে টাকা আনতে যায়। রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসে জানতে পারেন যে, একজন নারী ও একজন পুরুষ মঙ্গলবার ভোর রাত দুটোর দিকে তাকে একটি ভ্যানে করে নিয়ে এসে জরুরী বিভাগের সামনে নামিয়ে রেখে যায়। এসময় জরুরী বিভাগে কর্তৃব্যরত চিকিৎস্যক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় খোঁজাখুঁজি কওে সেখানে কাউকে পাননি তারা। একপর্যায়ে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কাছে তুলে দেন। তার বোনের কানে থাকা এক জোড়া সোনার দুল, একটি মোবাইল সেট ও কিছু টাকা খোয়া গেছে বলে জানান তিনি। তবে দেনদারের কাছে যাওয়ার পর সালমাকে মারপিট করে সোনার দুল, মোবাইল ও টাকা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক বেলাল হোসেন জানান, সালমার মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। তার মৃত্যুও আসল কারণ জানা যাবে।
খুলনা গেজেট/কেডি