পাইলটের মোবাইল ফোনের ‘জিপিএস লোকেশন’ ধরে নেপালে ২২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত তারা এয়ারের উড়োজাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে রাজধানী কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহা ব্যবস্থাপক প্রেম নাথ ঠাকুর বলেন, ‘‘তারা এয়ারের উড়োজাহজটি নিখোঁজ হওয়ার পরও সেটির পাইলট ক্যাপ্টেন প্রভাকর ঘিমিরের মোবাইল ফোনে কল দিলে সেটি বাজছিল।”
তার মোবাইল ফোনটি নেপাল টেলিকমের। জিপিএস লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সেটির অবস্থান খুঁজে বের করা হয়েছে এবং নেপালের সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার সম্ভাব্য দুর্ঘটনাস্থলে অবতরণ করেছে।”
তারা এয়ারের উড়োজাহাজটি রোববার সকালে নেপালের পর্যটন নগরী পোখারা থেকে জমসম বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মধ্যে কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
উদ্ধারকর্মীরা পরে নেপালের মুস্তাং জেলার কোয়াং গ্রামে উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। উড়োজাহাজটির ২২ আরোহীর মধ্যে তিনজন ক্রু। বাকি ১৯ যাত্রীর মধ্যে চারজন ভারতীয়, দুইজন জার্মান এবং বাকি ১৩ জন নেপালের নাগরিক।
চার ভারতীয়র সবাই এক পরিবারের সদস্য। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির আরোহীদের অবস্থা এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার সর্বশেষ খবর জানাতে কাঠমাণ্ডুর ভারতীয় দূতাবাস থেকে একটি হট লাইন চালু করা হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
হিমালয়কন্যা নেপালের বিমানবন্দরগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোর তালিকায় উপরের দিকে রাখা হয়। পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ওইসব বিমানবন্দরগুলোতে অভিজ্ঞ পাইলটরাও বিমানে উঠা-নামা করাতে হিমশিম খান।
তার উপর রয়েছে দ্রুত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে জমসম এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল। তার মধ্যেই বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছিল। সেখানে জমসম উপত্যকার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগে উড়োজাহাজকে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে উড়ে যেতে হয়।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ