খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭
  সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ
  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২
সংবাদ সম্মেলন

পাইকগাছা ও চালনা পৌর বিএনপির কমিটি পুনর্গঠনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো ধরনের সভা ও আলোচনা না করেই খুলনার পাইকগাছা ও চালনা পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। বুধবার খুলনা প্রেসক্লাবে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা বলেন, বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে যাদের কোনো ভূমিকা নেই, এলাকায় সামাজিক অবস্থা নেই, এমন ব্যক্তিদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের দেখে পাইকগাছা পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ।

পাইকগাছা পৌর বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও প্যানেল মেয়র ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, পাইকগাছা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন উপজেলা আইনজীবী সমিতির ৫ বারের নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার। প্রথম যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন সাবেক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ইমদাদুল হক। তাদের বাদ দিয়ে আহ্বায়ক করা হয়েছে সেলিম রেজা লাকিকে। তিনি কাউন্সিলর নির্বাচনে কমিটির ৩ নং যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল আহমেদের কাছে ৩ বার পরাজিত হয়েছেন। সেলিম রেজা লাকি বিএনপির কোনো কর্মসূচি অংশগ্রহণ করেন না। দলের জন্য তার কোনো অবদান নেই।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সদস্য সচিব মোস্তফা মোড়ল বছরের ৬ মাস এলাকায় থাকেন না। দলের কোনো কর্মকান্ডে তাকে দেখা যায় না। যুগ্ম আহ্বায়ক মোহর আলী সরদার পৌর এলাকার বাসিন্দা নন। অথচ দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থাকলেও কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মতলেব গাজী, ১০টি রাজনৈতিক মামলার আসামি ইফতেখার সাবেরীকে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কমিটিতে রাখা হয়নি।

পৃথক আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিল আহম্মেদ দিলু বলেন, চালনা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব রাজনীতিতে সক্রিয় নন। এছাড়া যাদের সদস্য করা হয়েছে, তারা এলাকায় থাকেন না।

আগামী ৫ দিনের মধ্যে তারা কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, ৭ বছর আগে দুই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তাদের ৩ মাসের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়েছিলো। গত ৭ বছরে তারা একটি ইউনিয়নেও সম্মেলন করতে পারেননি। পৌর সভাকর্মী সভা আহ্বান করে ৩০ জনকেও উপস্থিত করাতে পারেননি। এই কমিটি রেখে দলের কি লাভ ?

বাপ্পী বলেন, এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনকারী ইমদাদুল হকের প্যানা ফেস্টুন দেখা যায়। এসব ব্যর্থ লোকদের কিভাবে কমিটিতে রাখবো? কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে, তারা সবাই পরীক্ষিত, ত্যাগী নেতা। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই কমিটি হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এইচ এইচ

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!