পাইকগাছার আলোচিত সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে এবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চার শ্রমিককে কলম দিয়ে খুচিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেল পৌনে চার টার দিকে। এঘটনায় হাসপাতাল এলাকায় শ্রমিক সমাগম বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ হাসপাতাল এলাকায় পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকাল পৌনে চারটার দিকে পাইকগাছা এসডি পরিবহনের ম্যানেজার শহিনুর রহমান আসাদুল সানা নামে এক রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জরুরী বিভাগে ভর্তি করাতে নিয়ে আসেন। এসময় জরুরী বিভাগের কক্ষে তাকে রোগীর চেয়ারে বসালে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন রোগী ও তার স্বজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
এসময় রোগীর সাথে থাকা স্বজন শ্রমিক নেতা শাহিননুর রহমান প্রতিবাদ করলে তাকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। খবর পেয়ে অন্য শ্রমিক নেতা গোলাম বারী খোকন, নুর আলী, শাহদুল ইসলাম হাসপাতালে এলে তাদের উপর আবারো হামলা করে আহত করেন তিনি। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্য শ্রমিরা হাসপাতালে পৌছালে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে এই চিকিৎসক আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একইভাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে সাংবাদিকদের আহত করে উপরন্তু ৪জন সাংবাদিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। যার নাং ২১/২৩ ইং। বারবার একই ধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের প্রত্যাহারপূর্বক তার শাস্তির দাবি করেন শ্রমিক নেতারা।
পাইকগাছা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সঞ্জয় কুমার মন্ডল উপস্থিত আহত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য বলেন, উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ নিতিশ চন্দ্র গোলদার খুলনায় মিটিংয়ে আছেন উনি এসে বিষয়টি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ নিতিশ চন্দ্র গোলদারের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি এবং উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তার সাথে ফোনে কথা বলেছি। তিনি বিষটি নিরশনের আশ্বাস দিয়েছেন। ব্যর্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।