পাইকগাছার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা বাজার থেকে শংকর দানার কাঠের ব্রিজ পর্যন্ত ৬ গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই রাস্তায় চলাচলকারীদের। রাস্তাটি সংস্কারে জন্য এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পাইকগাছা-কয়রা আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা বাজার থেকে শংকরদানা কাঠের ব্রিজ পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদার ওপর দিয়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তা ইটের সোলিং দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরেও সংস্কার না করায় ঝড়-বৃষ্টিতে মাটি ক্ষয় হয়ে ইটগুলো ওয়াপদার নিচে ঝরে পড়ে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে পানার আবাদ, তেতুলতলা আঁধারমানিক, সচিয়ারবান, হালদারচক, শংকরদানাসহ ৬ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
তারা আরও জানান, রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ইটগুলো ছড়ানো ছিটানো হওয়ায় হেঁটে চলাফেরা করাও খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।
তেতুলতলা গ্রামের কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘আমাদের শামুকপোতা বাজারে যেতে হয় হেঁটে। যদিও কেউ বাইসাইকেল নিয়ে বাজারে যায় তাও আবার ঠেলে নিয়ে যেতে হয়। এলাকায় কোনো মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
শংকর দানার অসিম বিশ্বাস বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে রাস্তার ইটগুলো খসে পড়েছে। বহুবার আমাদের ইউপি সদস্যকে বলেছি কিন্তু তাঁরা কাজ করেন না। নির্বাচনের সময় শুধু ওয়াদা দিয়ে ভোট নেন। কাজের বেলায় কেই নেই। যদি ইউনিয়ন পরিষদের ৪০ দিনের কর্মসৃজনের লোক দিয়ে রাস্তার পাশ বাঁধার কাজ করাতেন তাহলে এত ক্ষতি হতো না। তাতে লোকজন ও যানবাহন চলাচল করতে পারত।
সাবেক ইউপি সদস্য কৃষ্ণ পদ মণ্ডল বলেন, ‘দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মাটি ক্ষয়ে গেছে। সে কারণে আগে মাটির কাজ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বলেছি তাঁরা কিছু কাজ করেছে। রাস্তাটি পুরোপুরি সংস্কারের জন্য আমি কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে জমা দিয়েছিলাম।
নতুন ইউপি সদস্য বিজন হালদার বলেন, ‘আমি সদ্য নির্বাচিত হয়েছি। তারপরেও গত মিটিংয়ে এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে বলেছি। তিনি কাজটি করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
লতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘রাস্তাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিন্তু কাজটি পূর্বে সম্পন্ন করে এলজিইডি। সে কারণে উপজেলা সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেছি।
খুলনা গেজেট/এনএম