রবিবার দিনভর দফায় দফায় বৈঠক হয় দিল্লিতে। সেই বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উত্তর প্রদেশ ,মহারাষ্ট্রর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গর মালদা থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত এই উত্তরবঙ্গের অঞ্চলটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এর জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় তিনটি রাজ্য কে নিয়ে রিস্ট্রাকচারাল বিল আসবে।
লোকসভা রাজ্যসভাতে সেক্ষেত্রে যাতে বিজেপিকে বিল পাস করতে কোন অসুবিধার সম্মুখিন না হতে হয়, তার জন্য স্ট্যালিন, নিতিশ কুমার এদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রে থাকা বিজেপি সরকার।
এবার আসা যাক পশ্চিমবঙ্গের কোথায় মালদা থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে সেখানে একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর কে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এর মধ্যে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কোনরকম গোলমাল করে, সেক্ষেত্রে সেনা নামানো হবে। ইতিমধ্যে পানগর সেনাছাউনিতে ভারতীয় সেনার বজ্র ইউনিটের সেনা বাহিনীর জওয়ানদের এনে রাখা হয়েছে। রাজ্যে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মজুত রাখা হয়েছে। সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার ১০ দিনের সফরে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে এবং সেখানে তিনি দার্জিলিং রাজভবনে থেকে উত্তরবঙ্গের ছোট-বড় সব ধরনের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা সেরে নেবেন, যাতে বাঁধা না আসে।
এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন পশ্চিম বঙ্গের তৃণমূল-বাম ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।
তৃণমূল সুপ্রীমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে ভাঙার বিজেপি সরকারের সবধরনের চক্রান্তের তীব্র নিন্দা করছি। তিনি বলেন, এর বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় নামব।
অন্যদিকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, পশ্চিম বঙ্গকে ভাঙা মানেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত শক্ত করা হবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, আর বাংলা ভাগ চাই না। এর বিরুদ্ধে তীব্র গণ আন্দোলন হবে।
এর আগে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে দাবি তোলাতে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। শুরু হয় নানা বিতর্ক। যদিও বাংলা বিভাজন বিজেপি চায় না বলে জানান দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবু তাঁর দাবি কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরতে চান জন বার্লা। আর এমন পরিস্থিতিতে নানা উদ্যোগ আয়োজন জনমানুষের মনে নানা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি