ভারতের ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে বিকানের-গৌহাটি এক্সপ্রেস। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন উদ্ধারকর্মীরা; আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৫০ জনকে।
আহতদের মধ্যে ২৭ জনকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল ও ১৬ জনকে ময়নাগুড়ি সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে বিভাগের উদ্ধারকারী কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দোমোহনি এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এক্সপ্রেসটির বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
পটনা থেকে গুয়াহাটিগামী ওই ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনা কবলিত হয়। ৫০ জন যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় একটি উদ্ধারকারী দল।
ট্রেনটির ৪-৫টি বগি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। তার জেরে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দেব সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যূত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। রিলিফ ভ্যান যাচ্ছে। ডিআরএম-রাও যাচ্ছেন। বাকি তথ্য এখনও জানতে পারিনি। জানলেই জানাব।’’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য উদ্ধারকাজ।’’
আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম দিলীপ সিংহ বলেন, ‘‘লাইনচ্যুত হয়েছে বিকানের এক্সপ্রেস। এখনও হতাহতের খবর নেই। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। আগে উদ্ধার কাজ। পরে অন্য কিছু। চারটে কামরা উল্টেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি।’’
উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটি থেকে অনেকে নিজে নিজে বার হয়ে এসেছেন। বাকিদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেলের উদ্ধারকারী দলও। ইতিমধ্যেই আশপাশের সদর হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় রেললাইনের কী অবস্থা ছিল, দুর্ঘটনার জেরে কামরাগুলিতে কী প্রভাব পড়েছে এবং সেগুলি কতটা দূরে ছিটকে পড়েছে তা প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি তৈরির প্রাথমিক কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই