সারা দেশের সঙ্গে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে পালিত হল ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ৭৭তম শহীদ দিবস। এদিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সেমিনার , কবিতা পাঠ, সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়।
এদিন সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতার বেলেঘাটার গান্ধীজীর স্মৃতিবিজড়িত গান্ধী ভবনে। এই গান্ধীভবনের সামনে মানববন্ধন করে গান্ধী স্মৃতি রক্ষা কমিটি। গান্ধী স্মৃতি রক্ষা কমিটির দাবি, ভারতের জাতির জনককে নৃশংভাবে খুন করে আর এস এস ও হিন্দু মহাসভার নেতা নাথুরাম গডসে। এরাই আজ ক্ষমতায়। তাই এদের কাছ থেকে মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিন বেলেঘাটার গান্ধীভবনের ভিতরে গান্ধীজীর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান প্রদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল ও রাজ্য বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। পরে রাজ্য বামফ্রন্টের ডাকে গান্ধীভবনের সামনে বেলেঘাটা মেন রোডে একটা সভা হয়।
সেখানে বক্তব্য বলেন সিপিআই রাজ্যসম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি, সিপিআই (এম) নেতা পলাশ ব্যানার্জি, আর এসপির-মনোজ ভট্টাচার্য ও তপন হোড়, ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা জীবন সাহা।
এদিন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বলেন, গান্ধীজীকে যে খুন করেছিল সেই আর এস এস-হিন্দু মহাসভার নেতা নাথুরাম গডসের উত্তরসুরীরা আজ দেশের ক্ষমতায়। তারা গোটা দেশে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করছে। সাধারণ মানুষ যেন এদের প্রোরচনায় পা না দেন। গান্ধীজী ছিলেন অহিংসার পূজারী। তিনি ছিলেন সংহতি-সম্প্রীতি, ঐক্য ও বহুত্ববাদী সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। আমাদেরকে এই পথেই চলতে হবে।
এদিন বেলেঘাটার গান্ধীভবনের সামনে জনজোয়ার তৈরি হয়েছিল।
খুলনা গেজেট/ এএজে