সুন্দরবনের প্রাণ মোংলা-দাকোপ এলাকার পশুর নদীর মাদাড়া এবং বাজুয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা হতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও বিপণনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গনসহ পরিবেশ বিপর্যয় এবং সরকারি-বেসরকারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঝুঁকিতে থাকার আশংকা করা হচ্ছে। এব্যাপারে বাগরহাট-খুলনাসহ স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মোংলা আঞ্চলিক শাখার সদস্য ইস্রাফিল বয়াতী জানান, পশুর নদীর বিভিন্ন জায়গা হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারিভাবে ঘোষিত বালুমহল থাকা সত্ত্বেও অবৈধ কিছু অসাধু ড্রেজার ব্যবসায়ী পশুর নদীর মদাড়া এবং বাজুয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন বালুমহল নিয়ে এমন এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙ্গনসহ পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিছে। এছাড়া বালুমহল নয় এমন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করায় সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
পশুর নদীতে বৈধ ভাবে বালুমহল ইজারা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভূঁইয়া কনস্ট্রাকশন এর ম্যানেজার মেহেদী হাসান বলেন, দিবা-নিশি লোড ড্রেজার পশুর নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এ বিষয় স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত এবং মৌখিক অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে এসব অবৈধ বালু উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে মোংলার সহকারি কমিশনার ( ভূমি )র বক্তব্য পাওয়া না গেলেও দাকোপের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মতুর্জা খান বলেন, বালুমহল ব্যতীত অন্যকোন স্থান হতে অবৈধ ভাবে যদি কেউ বালু উত্তোলন করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগের বিষয়ে দিবা-নিশি লোড ড্রেজারের মালিক মোঃ আলামীন জানান, “সবাই যেভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে, আমিও সেভাবে উত্তোলন করছি।”
খুলনা গেজেট/কেএম