মাছ ধরতে গিয়ে মোংলার পশুর নদীতে নৌকা ডুবে বিধান হালদার নামে এক জেলে নিঁখোজ হয়েছেন। ওই সময় নৌকায় থাকা অপর জেলে সাঁতরিয়ে সুন্দরবনে উঠে প্রাণে বেঁচে গেছেন। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নিঁখোজ হওয়া জেলের সন্ধানে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর থেকে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন কোস্ট গার্ড।
মোংলার চিলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর শান্ত ডাকুয়া জানান, চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়ার গ্রামের দাসেরখন্ড এলাকার জেলে বিধান হালদার (৫৫) ও কালিকাবাড়ী এলাকার বিপ্রো পোদ্দার (২৩) একই ডিঙ্গি নৌকায় সুন্দরবনে মাছ ধরে থাকেন। অন্যান্য সময়ের মত বনবিভাগের পাস নিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তারা সুন্দরবনে মাছ ধরতে রওনা হন। পথিমধ্যে রাত ৪টার দিকে পশুর নদীর হাড়বাড়ীয়া এলাকার বয়ার কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ তাদের নৌকাটি ছিদ্র/ফুটা হয়ে ডুবে যায়। তখন তারা নৌকায় থাকা বরফ রাখার ককসেট (শোলার বাক্স) ধরে সাঁতরিয়ে পশুর নদীর পূর্ব পাড়ে উঠার চেষ্টা করেন। ওই সময় সাঁতরিয়ে বিপ্রো পোদ্দার পাড়ে উঠতে পারলেও ফিরে আসতে পারেননি বিধান হালদার। বিপ্রো কুলে উঠে সুন্দরবনের গাছে আশ্রয় নেন। পরে শনিবার ভোরে এলাকায় ফিরে এসে বিধানের নিঁখোজের খবর জানান পরিবারের কাছে। তারা খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে জানানোর পর শনিবার দুপুরে কোস্ট গার্ড নিঁখোজের সন্ধানে অভিযান শুরু করেছেন।
বেঁচে ফিরে আসা জেলে বিপ্রো পোদ্দার বলেন, নৌকা ডুবে গেলে ককসেটের দুই অংশ নিয়ে কুলে আসার জন্য সাঁতার শুরু করি দুইজনেই। সাঁতরিয়ে বেশ কিছু দূর একসাথেই আসি। এরপর বিধান আমার পিছনে পড়ে যায়। আমি কুলে এসে বন্যপ্রাণীর ভয়ে গাছে উঠে থাকি। কিন্তু বিধান আর ফিরে আসেনি। মনে হচ্ছে হাত থেকে ককসেট ছুটে গিয়ে ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন সে।
এ জেলেরা সুন্দরবনে খেপলা জাল দিয়ে মাছ ধরে আসছিলেন।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে নিখোঁজের সন্ধানে পুলিশ, নৌ পুলিশ, বনবিভাগ ও কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযান চলছে।
খুলনা গেজেট/এনএম