চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জানাতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৩ জন। শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল কেশবপুর এলাকার ওই কারখানাটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
এ ঘটনায় রাত ১১টার দিকেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট হওয়া আগুন এক ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে পাশে থাকা বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে এতো কিছুর পরও কারখানার মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। উদ্ধার অভিযানে সহায়তা তো দূরে থাক তথ্য দেওয়ার জন্যও ঘটনাস্থলে মালিকপক্ষের কেউ আসেননি।
রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি। উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। রাতে যেহেতু অন্ধকার, সেহেতু উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হবে না। আমরা এখন পর্যন্ত মালিকপক্ষের কাউকে পাইনি। তারা কেউ দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আসেননি।
বিস্ফোরণের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারখানাটিতে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয় এবং সিলিন্ডার রিফিল করা হয়। দুটি কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি। ব্যবস্থাপনার কারণেও দুর্ঘটনা হতে পারে। তদন্ত শেষে স্পষ্ট করে বলা যাবে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল কেশবপুর এলাকায় এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, কুমিরা ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর থেকে সেখানে উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত (রাত ১১টা) ছয়জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।