স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত করোনার ভ্যাকসিন হাতে চলে এলে ভ্যাকসিন প্রদানে ৪০ বছরের বাধ্যবাধকতা কমিয়ে আনা হতে পারে।’
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, আগামীতে করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে সাড়ে তিন হাজার মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা প্রদানে আগ্রহ দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো।
আজ বুধবার সচিবালয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক জানান, পরবর্তী ধাপে দেশের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট একটি অংশসহ দেশে থাকা বিদেশি নাগরিক, বিভিন্ন বন্দরে কর্মরত ব্যক্তি, দেশের পাঁচ তারকা হোটেলে কর্মরত ব্যক্তিকেও ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
টিকা ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত এক মাস দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রদানে বাংলাদেশের প্রশংসা কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশের ৪৫ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং এর মধ্যে ৩৩ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। দেশের এক হাজার সাতটি ভ্যাকসিন বুথে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী জুলাই পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্স-এর এক কোটি নয় লাখ ভ্যাকসিনসহ মোট চার কোটি ভ্যাকসিন দেশের মানুষের শরীরে প্রদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রদানে বিশ্বের বহু দেশ এখনও হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু দেশের স্বাস্থ্যখাত এই ভ্যাকসিন প্রদানে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কাজ করতে পারলে আগামীতেও ভ্যাকসিন প্রদানে দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী অক্ষুন্ন থাকবে।
ভ্যাকসিন প্রদানে ভবিষ্যতে যাতে কোনোরকম সমন্বয়হীনতা দেখা না দেয় সেজন্য প্রতি ১৫ দিন পর পর সচিবালয়ে অন্তত একটি করে ভ্যাকসিন আপডেট সভা করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই