উচ্চ আদালতে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়া দুই বিচারক। হাইকোর্টে বুধবার ক্ষমা চান বিচারিক আদালতের দুই হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ভুল হয়েছে অসাবধানতাবশত। ভবিষ্যতে রিমান্ড আদেশ দেয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দুই বিচারক। পাশাপাশি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চান তারা।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার আবেদনের কোনো কপি আমরা এখনও পাইনি। না দেখে বলতে পারছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই বিচারকের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পৌঁছেছে গতকাল মঙ্গলবার। আজ সেটি আদালতে জমা দেয়া হবে।
পরীমনি বুধবার আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন। মঙ্গলবার পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, ‘বুধবার মামলাটির তারিখ ধার্য রয়েছে। পরীমনি তাকে জানিয়েছেন, তিনি আদালতে হাজিরা দেবেন। দুপুর ১২টা থেকে ১টা নাগাদ তিনি আদালতে পৌঁছাবেন।’
মজিবুর জানান, পরীমনির কিছু মালামাল জব্দ রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আদালতকে কিছু বলবেন।
গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দের দাবি করে বাহিনীটি।
পরের দিন পরীমনিকে আটকের কারণ জানানোর পাশাপাশি বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে র্যাব। ওই দিনই এই অভিনেত্রীকে আদালতে তোলা হলে প্রথম দফায় চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়া হয়। পরে আরও দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
দ্বিতীয় দফায় পরীমনিকে দুই দিন এবং তৃতীয় দফায় আরও এক দিন তাকে রিমান্ডে পায় পুলিশ। সাত দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আটক রাখা হয়।
৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমনিকে জামিন দেন। জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছালে পরদিন সকালে তিনি কারামুক্ত হয়ে বাসায় ফেরেন। পরীমনির মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।
১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেননি বলে জানিয়েছেন আদালতেসংশ্লিষ্ট থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মো. আলমগীর হোসেন।
খুলনা গেজেট/এনএম