‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা’ মামলার তদন্তের জন্য কথা বলতে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে পৌঁছেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মিন্টুরোডের ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছান। পরীমণির সঙ্গে আছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ও মামলার সাক্ষী পরীমণির কসটিউম ডিজাইনার জিমি। ডিবি সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ডিবি সূত্র জানিয়েছে, মামলার বাদী হিসেবে পরীমণিকে ডাকা হয়েছে তার বক্তব্য শোনার জন্য। এছাড়া মামলার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, সেসব বিষয় নিয়েও পরীমণির সঙ্গে কথা বলবেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান বিভাগের পুলিশের উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য পরীমনিকে আসতে বলা হয়েছে। তার সঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কথা বলবেন, কিছু তথ্য জানতে চাইবেন।
পরীমণি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সোমবার সাভার থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বিকালে ডিবি পুলিশ মামলার মূল অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে। মামলায় আজ নাসির উদ্দিনসহ দুই জনের সাত দিন ও তিন নারীর তিন দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এছাড়া নাসির ও অমির কাছ থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার মধ্যরাতে বিমানবন্দর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের এসআই মানিক কুমার শিকদার। মঙ্গলবার আদালতে নাসির ও অমির রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
প্রথমে ফেইসবুকে এবং পরে বনানীতে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে পরীমনি অভিযোগ করেন, গত ৮ জুন রাতে অমি তাকে তুরাগ নদীর তীরে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে নাসির তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই