পরীক্ষা চালুসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে রাখেন তারা। ফলে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহগামী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসগুলো আটকে পড়ে।
শনিবার দুপুর ২ টায় প্রধান ফটক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভাগের শিক্ষকদের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো, ২৮ নভেম্বরের মধ্যে নন ক্রেডিট পরীক্ষা নিতে হবে, এই মাসের মধ্যে চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু করতে হবে, শীতের ছুটির আগে ভাইবা শেষ করতে হবে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে এবং পরীক্ষার রেজাল্ট মার্কশিটসহ প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা গত ৩১ এ অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল। পরে তারা জানতে পারে তাদের ৭ জন শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষে নন ক্রেডিট কোর্সে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। যাদের নন ক্রেডিট কোর্সের পরীক্ষা দ্বিতীয় বর্ষের মধ্যেই শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু অনুত্তীর্ণদের তালিকা বিভাগ এতদিন প্রকাশ করেনি। শিক্ষার্থীরা চতুর্থ বর্ষে এসে নম্বর পত্র উত্তোলন করে জানতে পারে তারা উত্তীর্ণ হয়নি।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বিভাগের সভাপতির আবেদন প্রেক্ষিতে ভিসির বিশেষ অনুমতি ছাড়া এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এই সমস্যা নিয়ে দু’মাস ধরে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে আসলেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান পায়নি তারা। ফলে তারা এমন কর্মসূচি করেছেন।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের তৃতীয় তলায় বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিভাগের সভাপতির কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।
এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নন ক্রেডিট কোর্সের আবেদন করার পরই আমি বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির মিটিং ডেকেছিলাম। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক উপস্থিত না হওয়ার ফলে আমরা মিটিং করতে পারিনি। পরে আবারো মিটিং ডেকে ১১ নভেম্বর প্রশাসনের কাছে পরীক্ষার অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম।’
পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাওয়া পূরণ করতে পারছিলাম না এ কষ্ট থেকে আমি পদত্যাগ করেছিলাম। পদত্যাগ করার পর আমি জানতে পারলাম যে ভিসি স্যার আমাকে প্রোভিসি স্যারের সাথে কথা বলতে বলেছে। তবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দরকার পড়লে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, যেহেতু এটা বিভাগের বিষয় এটার সমাধান বিভাগেই হবে। এ নিয়ে গেটে তালা দেওয়া অযৌক্তিক।
খুলনা গেজেট/ এএজে