ফুল সৌন্দর্য, স্নিগ্ধতা ও পবিত্রতার প্রতীক। এর পাঁপড়ির বিন্যাস, রঙের বৈচিত্র ও গন্ধের মাধুর্যে আমাদের মন এক স্বর্গীয় আনন্দে ভরে ওঠে। এছাড়া ফুলের স্বর্গীয় সৌন্দর্য প্রতিদিনের জীবন যুদ্ধে শ্রান্ত ও ক্লান্ত মানুষের মনে ক্ষণিকের জন্য হলেও পরম তৃপ্তি ও অনাবিল শান্তি দেয়। তাই ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা নিবিড় ও ব্যাপক। পরিবেশ দূষণ নিয়ে আজ সারা বিশ্ব চিন্তিত। ধরিত্রীকে বাঁচাও, একটিই পৃথিবী সকলের যতেœ সকলের জন্য- এসকল শ্লোগান আজ বিশ্ববাসীকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে।
পরিবেশর সাথে সবুজ বৃক্ষের এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ফুলের বাগান সৃজনের মাধ্যমে নগর ও শিল্পাঞ্চলের ভারসাম্যহীন পরিবেশের উন্নতির প্রচেষ্টা আজকাল বিশ্বের বহু জায়গায় শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু ফুল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। গোলাপ, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গাঁদা এদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় ফুল।
কাজেই,আসুন আমরা সবাই মিলে নগর, শিল্পাঞ্চল ও গ্রাম বাংলার আঙিনা, বাড়ীর ছাদে, রাস্তার পাশে, রেল লাইন ও বাঁধের ধারে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, গীর্জা, মন্দির, অফিস, আদালত, কল-কারখানা,পার্ক ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে রকমারি ফুল ও অন্যান্য সবুজ বৃক্ষের চারা রোপণ ও তা সংরক্ষণ করে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখি এবং আগামী প্রজন্মকে উপহার দেই একটি সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ।
লেখক : উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, রূপসা, খুলনা।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ