পরাজয় মেনে নিতে না চাইলে আমেরিকার মানুষই ওঁদের সসম্মানে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের প্রচারদলের তরফে প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পকে এই হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে চাইছেন না। তারই প্রেক্ষিতে এই হুঁশিয়ারি।
বাইডেনের প্রচারদলের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু বেটস বলেন, ‘‘আমরা গত ২৯ জুলাইয়েই বলেছিলাম আমেরিকার মানুষই এ বারের নির্বাচনের মূল নির্ধারক শক্তি হবেন। আর আমেরিকার গণতান্ত্রিক সরকারের সেই ক্ষমতা রয়েছে যাতে হোয়াইট হাউস থেকে অবৈধ প্রবেশকারীদের সসম্মানে বের করে দেওয়া যেতে পারে।’’
পেনসিলভেনিয়া ও জর্জিয়াতেও বাইডেন এগিয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরাজয় এখন শুধুই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রিপাবলিকানদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত পেনসিলভেনিয়াতেও ট্রাম্পের চেয়ে ৯ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। এখনও পর্যন্ত বাইডেনের পক্ষে রয়েছে ইলেক্টোরাল কলেচের ২৫৩টি ভোট। ট্রাম্পের পক্ষে ২১৪টি। সে ক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগারে (২৭০) পৌঁছতে বাইডেনের প্রয়োজন ইলেক্টোরাল কলেজের আর ১৭টি ভোট। পেনসিলভেনিয়ায় তাঁর জয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে বাইডেন অনায়াসেই সেই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যেতে পারবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও ট্রাম্প এই ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন। গণনায় কারচুপির অভিযোগে তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতেরও।
সরকারি ভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা না হলেও বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন ঘোষণা করেছেন, তাঁরাই এই দৌড়ে জিতছেন। আমেরিকাবাসীদের উদ্দেশেও সেই বার্তা দিয়েছেন তিনি। বাইডেনের কথায়, জয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা এখনও হয়নি বটে। তবে সংখ্যা স্পষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য কথা বলছে। আমরাই এই দৌড়ে জিতছি।’’
গত জুলাইয়ে আমেরিকার একটি টেলিভিশন চ্যানেল ‘ফক্স নিউজ’-এ দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ভোটে পরাজয় তিনি মেনে নিতে পারবেন না। যদি হারেন তা হলেও কোনও ঝামেলা না বাধিয়ে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না।