ঢাকায় আবারও দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। আগামীকাল সোমবার দেশটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসবে। এ উপলক্ষে আজ সফরে আসছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো। আগামীকাল দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। এ বৈঠকে কৃষিসহ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলন হবে।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সমকালকে বলেন, দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এ মুহূর্তে দূতাবাস খোলার ঘোষণা এলে রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়বে। দূতাবাস খুললে অনেক সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বকাপে দেশটির ফুটবল দলের জন্য বাংলাদেশ থেকে যে ভালোবাসা ও সমর্থন দেখানো হয়েছে, এ বিষয়টি দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্তে প্রভাব রেখেছে। ক্যাফিয়েরোর সফরে অর্থনৈতিক কূটনীতির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোয় পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। আর্জেন্টিনার আদালতে রোহিঙ্গাদের একটি মামলা রয়েছে। এতে সাক্ষ্য দিতে কিছু রোহিঙ্গার বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার কথা। এগুলো দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেবে।
এদিকে ক্যাফিয়েরোর সফর উপলক্ষে নয়াদিল্লির আর্জেন্টিনা দূতাবাসের কূটনীতিকরা ঢাকায় এসেছেন। আগামীকাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সফর শুরু করবেন ক্যাফিয়েরো। এরপর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হবে।
সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে। এ দিন ধানমন্ডি মাঠে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করবেন ক্যাফিয়েরো। এ ছাড়া ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির উদ্দেশে তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
দিল্লির আর্জেন্টিনা দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে গতকাল সমকালকে বলেন, সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো সোমবার দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেবেন। দূতাবাস খোলার জন্য এখনও তাঁরা অফিস খুঁজছেন। অফিস খুঁজে পুরো দূতাবাস চালু করতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।