খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া সংগঠনকে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সামান্য ভুলের জন্য কোন অবস্থাতেই সংগঠনের ক্ষতি করা যাবে না। সব ভুল বোঝা বুঝির অবসান ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সংগঠনকে সবাই মিলে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছেন। আর শেখ হাসিনার রক্ষা করা কষ্টাজিত আওয়ামী লীগকে আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। সেজন্যে সকল ভুল ত্রুটিকে পেছনে রেখে এবং পরগাছা আগাছাকে ছেটে ফেলে দলকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। তাই সকলে মিলে শেখ হাসিনা ও দেশের মানুষের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সর্বজন গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ২১নং ওয়ার্ড এবং ২৯,৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ড নিয়ে পৃথক দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবসে রাত ১২.০১ মিনিটে শহীদ হাদিস পার্কে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয় হতে প্রভাত ফেরি এবং প্রভাত ফেরি শেষে আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ ছাড়া ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ড ও ইউনিট কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু’র ভাষণ প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়।
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং খুলনা বেতারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও আলোচনা সভা, ২৫ মার্চ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত হয়।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয় হতে বর্ণাঢ্য র্যালি ও র্যালি শেষে আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত হয়।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ সৈয়দ আলী, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, অধ্যা. রুনু ইকবাল, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর মো. আনিসুর রহমান বিশ্বাষ প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, সাবেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হায়দার আলী, কাজী এনায়েত হোসেন, বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী শেখ, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. আশরাফুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, মো. শাহাজাদা, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম চান ফারাজী, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, শেখ ইউনুস আলী, কামরুল ইসলাম বাবলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম, শেখ নুর মোহাম্মদ, আবুল কালাম আজাদ, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, কাউন্সিলর শেখ মোশাররফ হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা স. ম. রেজওয়ান, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, শেখ আবিদ হোসেন, ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, শহিদুল ইসলাম বন্দ, এস এম আনিসুর রহমান, কাউন্সিলর গাউসুল আযম, কাউন্সিলর মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন।