হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র ফ্রান্সের ম্যাগাজিনে ছাপানোর পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরা, পবিত্র মক্কা শরীফ ও যমযম কূপকে ‘তথাকথিত’ মক্কা ও জমজম কূপ বলে তাচ্ছিল্য করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রকে বিভাগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। ওই ছাত্রের নাম আব্দুল্লাহ আল হাদী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির জরুরী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নিজ টাইমলাইনে মক্কা শরীফ ও পবিত্র জমজম কূপকে ‘তথাকথিত’ মক্কা ও তথাকথিত জমজম কূপ বলে তাচ্ছিল্য করে পোস্ট করেন ওই ছাত্র। তিনি ঐ পোস্টে পরে মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে স্ট্যাটাসটি সরিয়ে ফেলে ক্ষমা প্রার্থনা করে ফের স্ট্যাটাস দেন ওই ছাত্র।
ফ্রান্সের ম্যাগাজিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যাঙ্গচিত্র ছাপানোয় সারাদেশের মুসলমানরা ফরাসি পণ্য বর্জনের দাবিতে যখন সোচ্চার। ঠিক তখনই পণ্য বর্জনের বিপক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরে টাইমলাইনে স্ট্যাটাস দেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি পোস্টে পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র জমজম কূপকে ‘তথাকথিত’ মক্কা ও তথাকথিত জমজম কূপ বলে তাচ্ছিল্য করেন।
এদিকে এ ঘটনায় ওই ছাত্রের সহপাঠীরাসহ অন্য শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তোলে। এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান।
এর আগেও তিনি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বিভিন্ন পোস্ট ও বিরূপ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঈদের কোরবানীকে ধর্মের নামে অন্ধবিশ্বাসে প্রকাশ্য বলিদান ও রক্তারক্তির খেলা বলেও কটূক্তি করে তিনি। তার বিভিন্ন পোস্টে বিতর্কের জন্ম দিলেই পোস্ট সরিয়ে নিতেন ওই শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক সহপাঠী বলেন, সে ধর্ম নিয়ে এমন বাড়াবাড়ি এর আগেও কয়েকবার করেছে। মাঝে আরো একবার ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় প্রতিবাদের ঝড় উঠলে সে তার আইডি ডিজেবল করে রাখে। এবার তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোস্তাক আলী জানান, ‘ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে জরুরী মিটিং করেছি। সভার সিদ্ধান্তের ছাত্রত্ব বাতিল করে স্থায়ী বহিষ্কারের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করা হবে। প্রশাসন বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।
খুলনা গেজেট/কেএম